টরন্টো, জুন ২৬, ২০২২, নভো সংখ্যা ৩৩  
              
হোমপেজ সম্পাদকীয় পাঠক পরিষদের কথা কবিতা ছোট গল্প ধারাবাহিক সাহিত্য সংবাদ ভ্রমণ কাহিনি বিশেষ নিবন্ধ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল আবৃত্তি / কণ্ঠসঙ্গীত পাঠাগার আর্কাইভ লেখক পরিচিতি যোগাযোগ

কার্তিকের কুয়াশা

 

কবিতার পাতা

 

 

 

 

 

 

স্বপ্নটা ছিল, আছে

 

- গৌতম  সাহা

 

স্বপ্নট ছিল আছে
শুধু তুমি নাই
আকাশ আঁধার হলে
আড়ালে লুকাই।
মনে মনে ডাকি আমি
চুপি চুপি বলি
আমার অসার দিন
একা একা চলি।
ডাকি আর বলি কথা
মনের এ ভারে
যা কিছু হারিয়ে গেছে
অলস আঁধারে।
ভিতরে জলস্রোত
উঠোনে কী রোদ
তুমি চলে গিয়ে তাই
নিলে প্রতিশোধ।
আষাঢের ‍বুকে বসি
পসরা সাজাই
শ্রাবণ মেঘের জলে
আসি আর যাই।
২৫.০৬.২২।

 

 

 

 

 

বয়ে যাও নিরবধি.....

--- ফেরদৌসী বেগম

জল আমাকে টানে
নাকি আমিই জলের কাছে যাই
অদৃশ্য টান-
ঢেউের টান, উজানের টান
উথাল পাতাল ঢেউ
রূপালি ঢেউ, উড়ে যাওয়া চিল
ব্যস্ত বিকেল, গেরুয়া বিকেল
একটু নিরালা
কিছুটা বসে থাকা ক্ষণ একলা
খুব কাছাকাছি জলভরা মুখ
মায়াবতী নদী
ভালোবাসি প্রতিক্ষণ।
কেন যে ডুবাও কারন অকারন
একটু শান্ত থেকো
সত্যি বলছি শান্ত জল
তোমাকে ছুঁয়ে বলছি
বড্ড ভালোবাসি
কেন যে উতাল হও
কেন ভাসিয়ে দাও গ্রাম,শহর, বন্দর
দ্বীপের মতো যে গ্রাম
থাকে তো কত শত স্বজন।
কেন ভাসাও?
এ নদী আমি চিনিনা
কেন যে মাঝে মাঝে সাগর হয়ে যাও!
রাক্ষুসী সাগর
সব নিয়ে যাও
বসত ঘর, ভাতের থালা
শখের লাটিম,
হাতের শাখা, দাদুর সিন্দুক
চৌদ্দ পুরুষের ভিটে, কবরস্হান
সব সবকিছু নিমিষেই
শেষ চিহ্নটুকু মুছে দিয়ে যাও
প্রচন্ড তান্ডবে
কেন? কেন?
তারপরও জলের কাছে যাই
নদীর কাছে যাই
বারবার যাই
কোন টানে যাই?
নদী ডাকে? না আমি নিজেই যাই
বুঝি না রূপালী স্রোত
তোমাকে বুঝি না
শুধু বয়ে যাও নিরবধি।।।।
রাজশাহী/ ২৫.০৬.২০২২

 

 

 

 

সেতার

রত্না চক্রবর্তী


২৫.৬.২২
সেতার ভাবে সে তার ছিল
আজকে সে আর নাই,
শাওন রাতে নিয়ে গেছে তারে
একটা সানাই।।

 

 

 

 

বৃক্ষ

ফিরোজা হারুন

 

দিন যায়, ক্ষণ যায়

আমি যাই কোথা?

এক ঠাঁয় দাঁড়িয়ে

কাক পাখি তাড়িয়ে

কাল কেটে যায় বৃথা!


পত্র পল্লব দোলে মলয় হিল্লোলে

মধুকর মধু খোঁজে রঙিন সুবাস ফুলে।

পথিক আশ্রয় খোঁজে আমার ছায়ায়

মায়ার পরশ পেয়ে দেহটি জুড়ায়।


সাঁঝের আধাঁর নামে

ধরাধাম জড়িয়ে,

মিটিমিটি তারা হাসে

আকাশটি ছড়িয়ে।

আমি তাই, ভাবি হায়...।

গতিহীন তিমিরে,

বৃক্ষ যে আমি, বাঁধা আছে পা দু'খানি,

মৃত্তিকার গভীরে!


নভেম্বর ০৭,২০১৬

 

 

 

 

 

মোহনভোগ চুম্বনে  

✍ সাইদুজ্জামান

 

রাগ কোরোনা, দাগ পড়েনি কতদিনে,
শুকনো ঠোঁটে মোহনভোগ চুম্বনে।
ঘুমের চেয়ে শুয়ে থাকাই ভালো,
মৃত্যুর চেয়ে জীবন যদি জ্বালো।
ইচ্ছে যদি জাগে তোমার, কুমড়ো গড়াগড়ি,
চাদরতলায়  ভোগ করোনি দুজন জড়াজড়ি।
 শূন্য ছাড়া আর কী বলো পাবে তুমি সন্যাসে?
কিছু সংস্রব, কিছু উত্তাপ এ-মন ভালোবাসে।
তোমাকে দিলাম তিনশো একটি খোলা চুম্বন,
ভোগ করে দেখো যদি হয় বিষন্ন তোমার মন।

টরন্টো, ২৩শে জুন, ২০২২

 

 

 

 

জীবনের খেরোখাতা.........

 

ফেরদৌসী বেগম

 

কিছুটা দূরত্ব থাক
কিছুটা মাঠ ফাঁকা থাক
আজ কাল বা পরশু কারোর জন্য।
থাকুক একটু শূণ্যতা স্বপ্ন বোনার
পড়ে থাক কিছু কাজ বেলা অবেলায়।
পড়ে থাক ব্যস্ততা, ছুটাছুটি, কোলাহল
পড়ে থাক নিত্য কাজের ঝুট ঝামেলা
পড়ে থাক চার দেয়ালের জীবন
আটপৌরে অভ্যাস
চায়ের কাপ, নাগরিক সভ্যতা
আরো সব, জীবনের অপরিহার্য্যতা।
সব কিছুই ব্যকরণ চাই শুধু অকারণ
দিন শেষে কিছু নেই
সূর্য্যটা ডুবে গেলৈ দিন শেষে আলো নেই
শুধু শুধু বিচরণ সময়ের পরিভ্রমণ
তারপর একদিন ঝরোপাতা জীবনের খরোখাতা।
শ্রমে ঘামে সঞ্চিত, কায় ক্লেশে অর্জিত
এ সেনারতরী রইলো পড়ে, বিজন ঘাটে
একলা পাখি যায় উড়ে যায় অসীম যেথায়
না ফেরে আর এ মোহজালে
না নেয় সাথে অনুষঙ্গ
চিরকালের গন্তব্যে।
রাজশাহী/ ২২.০৬.২০২২

 

 

 

 

মানুষ দুর্জয়

 

গৌতম  সাহা 

 

তোমরা যাকে মানুষ বলো
মানুষ সে তো নয়
মানুষ হলে গাইতো সবাই
মানবতার জয়।
করতো না কেউ মারামারি
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি
হতো না নির্দয়।
মতের সঙ্গে পথের অমিল
চলার পথে ছুঁড়ছে যে ঢিল
মানুষ হচ্ছে ক্ষয়।
তোমরা যাকে মানুষ বলো
মানুষ সে তো নয়
মানুষ হলে বাঁধতো জোট
পেতো না সে ভয়।
২৫.০৬.২২।

 

 

 



 

 

 

 

চিনির বলদ 

 

- লীমা জামান শিল্পী

 

চিনির বলদ, খেটেই গেলাম, কীইবা পেলাম সংসারে?

বুঝলো না কেউ, বুঝতে আমার কেউ কি পারে?

হঠাৎ যেদিন থাকবোনা, বুঝবে তুমি বুঝবে,

জল লুকোতে  চোখের, উপায় তুমি খুঁজবে। 

বলে রাখি এই কথাটা হঠাৎ যেদিন থাকবোনা,

মেলতে পারো পাখির মতো, আকাশ-টানা মুক্ত ডানা। 

 

 

 

 

 

কেমন আছ

রত্না চক্রবর্তী

১২.৬.২২
কেমন আছ তুমি ?
কতদিন খবর পাই নি আমি।
আসতে তোমার অনেক বাঁধা জানি
স্বপ্নে তো নেই কো মানা
মেঘের মাঝে মেলে দিয়ে ডানা
একবারও কি আসতে পারো না ?
বড্ড দেখতে ইচ্ছা করে মা...