টরন্টো, জুন ২৬, ২০২২, নভো সংখ্যা ৩৩ 
              
হোমপেজ সম্পাদকীয় পাঠক পরিষদের কথা কবিতা ছোট গল্প ধারাবাহিক সাহিত্য সংবাদ ভ্রমণ কাহিনি বিশেষ নিবন্ধ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল আবৃত্তি / কণ্ঠসঙ্গীত পাঠাগার আর্কাইভ লেখক পরিচিতি যোগাযোগ

কার্তিকের কুয়াশা

সম্পাদকীয়

 

 

"সাঁতার দিতে দিতে ইহারা অনেক দূর গেল দেখিয়া ঘাটে যাহারা ছিলো, তাহারা ডাকিয়া ফিরিতে বলিল। তাহারা শুনিল না - চলিল। আবার সকলে ডাকিল - তিরস্কার করিল - গালি দিল - দুইজনের কেহ শুনিল না - চলিল। অনেক দূর গিয়া প্রতাপ বলিল,"শৈবালিনী, এই আমাদের বিয়ে।"
শৈবালিনী বলিল,"আর কেন - এইখানেই।" প্রতাপ ডুবিল। শৈবালিনী ডুবিল না। সেই সময়ে শৈবালিনীর ভয় হইল। মনে ভাবিল - কেন মরিব? প্রতাপ আমার কে? আমার ভয় করে, আমি মরিতে পারিব না। শৈবালিনী ডুবিল না - ফিরিল। সন্তরণ করিয়া কূলে ফিরিয়া আসিল।"

 

বাঙালির প্রেমের প্যাটার্ন এখনো অব্যাহত আছে। বাঙালি নারী যুগে যুগে বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছেন, বাঙালি পুরুষ আবেগের বেগে গা ভাসিয়েছেন। বাঙালি নারীকে বাস্তবের কঠিন ভূমিতে সন্তর্পনে এগোতেই দেখা যায়, আকাশকুসুম কল্পনা করার অবসর কই। আর যুবকেরা  নিজেদের বোধবুদ্ধির উপর ভরসা না রেখে কেমন গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়েছেন। 

কার্তিকের কুয়াশার এমাসের সংখ্যা নিবেদন করা হচ্ছে বাংলা উপন্যাসের জনক, বাংলা সাহিত্যের সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একশত চুরাশিতম জন্মদিন উপলক্ষে।

এ সংখ্যায় বেশ কিছু নতুন গল্প-কবিতা নির্বাচিত হয়েছে। আশা করি সবার ভালো লাগবে। শুভ হোক বাংলা সাহিত্য।

২৬শে  জুন , ২০২২




 

সাইদুজ্জামান, টরন্টো, কানাডা।