রত্না চক্রবর্তী

লেখক রত্না চক্রবর্তী বেহালা রবীন্দ্রনগর বাসী পেশায় প্রাইভেট
শিক্ষক। লেখালেখির অভ্যাস কলেজ জীবন থেকেই। বাইরের জগতে কলেজ
ম্যাগাজিনের পর "বইপোকার কলম " গ্রুপ থেকে লেখার বাইরে প্রচার শুরু।
এছাড়া চলে অসংখ্য লিটিল ম্যাগে লেখালিখি। বর্তমানে বহু সাহিত্য গ্রুপ
আর অডিও চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত। একধারে সমাজজীবন ও মানুষের মনের
বিভিন্ন দিক নিয়ে গল্প পরিবেশন করেন, পাশাপাশি আছে ভূত অদ্ভুত অলৌকিক ও
রহস্যগল্পগুলি। বহু ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয় তার গল্প ঈ কবিতা।
ঝিনুক..একটি আধার পত্রিকার সম্পাদক গত ছয় বছর ধরে।
ঠিকানা-
৭৮৫/৬ মহেন্দ্র ব্যানার্জী রোড
রবীন্দ্রনগর, বেহালা
কোলকাতা-৭০০০৬০
মোঃ-৮৯৮১১৩৩৫৬০
ইমেলঃ-ratna.Chakraborty.55@gmail.com
ফিরোজা হারুন
জন্মঃ জানুয়ারি ১, ১৯৪৪, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার হরিরামপুর
গ্রামে। স্নেহময় পিতা জনাব আব্দুস সোবহান বিশ্বাস ও মাতা জুবাইদা
খাতুনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা।শিক্ষাঃ ময়মনসিংহ বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়। তারপর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কলেজ হতে বি.এ. পাশ করে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতিহাসে এম. এ. সমাপ্ত করে ময়মনসিংহ টিচার্স
ট্রেনিং কলেজ ফর উইমেন থেকে বি. এড. ডিগ্রী অর্জন এবং ঢাকায় আদমজী
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে যোগদান। এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের
জননী ফিরোজা হারুনের সাহিত্য অঙ্গনের অগ্রযাত্রার মূলে প্রেরণা
যুগিয়েছে তাঁর স্বামী ডাঃ মোহাম্মদ হারুন। তাঁর প্রথম উপন্যাস
'জীবনেরে কে রাখিতে পারে' সাপ্তাহিক রোববারে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশের
পর ১৯৯৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। আর আন্তর্জালে প্রকাশ
পেয়েছে ২০০৮ সালে। দ্বিতীয় প্রকাশিত উপন্যাস ২০০০ সালে 'সুখের
লাগিয়া'। ২০০৮ এ প্রকাশিত হয়েছে আরো ছয়টি গ্রন্থ। কিশোর সংকলন
-মেঘরাজা রোদরাজা, কাব্য সংকলন-নিশি লোর, উপন্যাস-প্রতীক্ষা, তিন
পুরুষের গল্প, স্মৃতির দুয়ারে এবং গল্প ও প্রবন্ধ সংকলন-ছিন্ন বীণার
তার। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি সমাজকল্যাণ মূলক কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁর মায়ের স্মৃতিস্মরণে একটি প্রাইমারি স্কুল তাঁরই
নিজ গ্রামে।
সোহেলী শাহানাজ স্বপ্না
সোহেলী শাহানাজ স্বপ্না একজন প্রতিশ্রুতিশীল রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।
উচ্চাঙ্গ সংগীত এবং অন্যান্য সংগীতেও স্বপ্না সমান পারদর্শী। জাতীয়
পর্যায়ে পুরস্কার ছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ে রৌপ্যপদক অর্জনসহ স্বপ্না
একাধিকবার প্রথম স্থান অধীকার করেছেন। মাগুরার এই শিল্পী সুবীর
নন্দি,কিরন চন্দ্র রায়, চন্দনা মজুমদার প্রমুখ শিল্পীদের সাথে অনুষ্ঠান
করে অনেক সুনাম অর্জন করেছেন। তার প্রিয় শিল্পী হলেন রেজওয়ানা চৌধুরী
বন্যা,তপন মাহহমুদ,সাদি মহম্মদ। স্বপ্নার নির্ভুল উচ্চারণ সঠিক সুরে
উপস্থাপন তার শ্রোতা মহলকে বিমুগ্ধ করে। পরিবারের সবার আগ্রহে স্বপ্নার
সংগীতে হাতে খড়ি হয় ওস্তাদ চণ্ডী প্রসাদ চট্টপাধ্যায়ের কাছে। পরবর্তীতে
ওস্তাদ নরেন্দ্রনাথ সিংহের কাছে তালিম গ্রহণ করেন। স্বপ্নার ইচ্ছে
ভবিষ্যতে বড় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হওয়া। সেজন্য তিনি নিয়মিত চর্চা
করছেন।
লীমা জামান শিল্পী
লীমা জামান শিল্পী একাধারে কবি, ছোটগল্প লেখক ও প্রবন্ধকার। কিন্তু
সবকিছুর মাঝে কবিতা লেখা যেন একটু বেশী পছন্দ। কবিতার মাঝে তিনি
বিনির্মান করেন স্বর্গের সিঁড়ি। জীবন সরোবরের অমৃত সুন্দর খুঁজে ফেরেন
তার দর্শনে তার মননে। খুব অল্প বয়স থেকেই প্রকৃতি তাকে ভাবাতো। আকাশের
ছোট্ট উজ্জ্বল নক্ষত্রটিও তাকে নিয়ে যেত উপলব্ধির নতুন মাত্রায়। পিতার
চাকুরী সূত্রে বাংলাদেশের বেশকিছু জায়গায় ভ্রমন হয়েছে। তবে কলেজ শেষে
উচ্চশিক্ষা লাভে একসময়ে তিনি দেশ ছেড়ে পাড়ি জমালেন আজারবাইজানের
Azerbaijan Institute of Oil and Chemistry –এ। সেই নতুন পরিবেশ থেকে
শুরু হলো ভাবনার এক নতুন জগৎ, নতুন দৃষ্টিভংগী। কবিতা লেখার প্রতি
আগ্রহ তখন যেন প্রবলরূপে সৃষ্টি হয়। তারপর দেশে ফিরে কাব্যচর্চা ও
কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে নিজেকে খুঁজে পেলেন অন্যরূপে। যেখানে উপলব্ধির
বিশালতা আকাশ ছোঁয়া। রচিত হলো তার পিতাকে নিয়ে এক অনবদ্য রচনা ‘আকাশ
কেন নীল।’ একটু একটু করে অসংখ্য লেখাই ইন্টারনেট জগতে প্রকাশিত হয়েছে।
নিজস্ব ই-বুক তৈরীরও ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যতে।
মধুবন্তী আইচ

জন্ম ২৯ মে, কোলকাতায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক সাহিত্যে
ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমান নিবাস গুজরাটের ভাদোদরা শহরে।
অরুণোদয় কুণ্ডু

নাম অরুণোদয়। ধাম হাওড়া , পশ্চিমবঙ্গ , ভারতবর্ষ আর কাম
প্রযুক্তিবিদ্যার শিক্ষকতা । এখন প্রশ্ন আসে সাহিত্যে আমার কাম কি? কাম
নেই আছে ভালবাসা , ছোটবেলা থেকে। জীবনটা নদীর মত বয়ে যায়, তার
কর্মমুখর পথের দুধারে অববাহিকার শস্য শ্যামল সাহিত্য তার সবুজ রঙ্গিন
হাত দিয়ে জড়িয়ে রয়েছে আমার হৃদয়। সেই সবুজের পূজা ই আমার সাহিত্য
। কখনো তা ভোরের গৈরিক রঙে ত্যাগ মন্ত্রে দীক্ষা ; কখনো বিকেলের কনে
দেখা রোদে ঘরে ফেরার গান । কখনো প্রতিজ্ঞা ,কখনো হাসি কখনোবা অভিমান
।কখনোবা তা বীরমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে মানবাত্মার কল্যানের খোঁজে ফেরার ।
এসব নিয়েই আমার সাথে সাহিত্যের জমজমাট প্রেম । তার সাক্ষাতকারের
সাক্ষী হতে বারন নেই কারোর। তাইতো সে আজ “কার্তিকের কুয়াশা” এর দরবারে
, একমুঠো দমকা হাওয়ার ভালবাসা নিয়ে।
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বের অন্যতম প্রধান দুই বিশ্ববিফ্যালয়
Moscow State Automobile & Road Technical University এবং Moscow Power
Engineering Institute থেকে আন্ডারগ্র্যাড এবং মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন
করে জন্মভূমি বাংলাদেশে Human Development Research Center (HDRC) এ
সিনিয়র কন্সাল্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করছেন। লেখালেখির জগতেও রাজ্জাক দেশে
বিদেশে অসংখ্য পাঠকের মন জয় করেছেন।
তাপস কুমার দাস
পোশাকি নাম,তাপস কুমার দাস বয়স ৫০,নিজেকে ছন্নছাড়া ভাবি, অন্তত কাজে
কর্মে তাই প্রমান হয়, শখ পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো কবিতা পড়া, লেখা,
কর্মসূত্রে চিত্তরঞ্জনে থাকি ।
এ কে এম সাইদুজ্জামান

জন্ম ১২ই আগস্ট বাংলাদেশে। শিক্ষা সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং কানাডায়। সোভিয়েত
ইউনিয়নের আজেরবাইজান সিভিল এঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম সিভিল
এঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রি, আজেরবাইজান তৈল ও রসায়ন ইনস্টিটিউট থেকে তাপ
এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জল শোধনের উপর গবেষণার জন্য রুশ
ফেডারেশন প্রদত্ত পি এইচ ডি ডিগ্রি,কানাডার কনকোর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে প্রথমে এনভায়রনমেন্টাল এঞ্জিনিয়ারিংএ গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট এবং
সব শেষে সিভিল এঞ্জিনিয়ারিংএ পি এইচ ডি। বিদ্যালয়ে বিচরণ ঢের হয়েছে
বিধায় এরপর থেকে বিদ্যালয় থেকে দূরে থেকেছি। বর্তমানে কানাডার অন্টারিও
প্রভিন্সে অনুমতিপ্রাপ্ত লাইসেন্সধারী প্রকৌশলী।
Diogenes the Cynic এর মতো ভাবতে ভালবাসি, "আমি এই পৃথিবীর নাগরিক ।"
অবাস্তব ভাবনা বৈকি! যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডার বিভিন্ন শহরে, এক
বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষকতা এবং সিভল এঞ্জিনিয়ারিং পেশায় আমি
সর্বদাই সাময়িক এক কর্মজীবী। সর্বদা সাময়িক আর চিরস্থায়ী বস্তুত একই
বস্তু বলে বোধ করি । জীবিকা অর্জনের তাগিদে সিভল এঞ্জিনিয়ারিংয়ের
নিরস কর্মকান্ড আমার জীবনে এক স্থায়িত্ব দখল করে ফেলেছে। সেই যৌবন
থেকে ভেবেছি মিস্তিরিগিরি সাময়িক দুএকটি বছর করে পাকাপোক্ত ভাবে
সাহিত্য জগতে ঢুকে পড়ব - বাস্তব তা হতে দেয়নি । আর সামান্য একটু বেশি
সাহস থাকলে ভদ্র গোছের একজন লেখক হতে পারতাম হয়তো । ১৯৭৯ সালে প্রথম
লিখেছি, ১৯৮০-১৯৮১ তে একালের নামকরা লেখকদের সাথে সেকালে সাহিত্যের
দারুন আড্ডা দিয়েছি - এই স্মৃতিটুকু সম্বল করেই এই বুড়ো বয়সে
সাহিত্যের পথে আমার এই বিলম্বিত যাত্রার শুরু । আমার সাহিত্য রচনা
যাঁরা পছন্দ করেছেন, কাকতালীয়ভাবেই তাঁদের অনেকেই জীবনের কোনো এক সময়
নিদারুন মস্তিস্ক বিকৃতির প্রমান রেখেছেন, আর এ ব্যাপারটাও ফলত আমাকে
বেশ নিরুত্সাহিত করেছে । গোটা দুয়েক বই, ডজন খানেক রচনা আমার ছাপা
হয়েছে - তবে তা সাহিত্যের নয়, বাংলা ভাষায়ও নয় । ইংরেজি এবং রুশ
ভাষায় লেখা ওই রচনাগুলো । গোটা চারেক ছোট গল্প বাংলায় লিখিয়ে
নিয়েছে আমার বন্ধুরা, তা ছাপানোর ব্যবস্থাও তাঁরাই করেছেন । পাঠকদের
কেউ কেউ আবেগে মন্তব্য করেছেন সব কটি লেখাই নাকি শ্রেষ্ঠ । এরকম
মন্তব্য আমাকে নিরুত্সাহিতই করেছে এতকাল । যদি সত্যিই আমার লেখাগুলো
ভালো হয়ে থাকে তবে হয়তো পঞ্চম লেখাটি আর সেরকম ভালো হবে না ।
১ । কেন লিখি? পাঠকের অনুরোধের ঢেকি গিলি।
২ । আমার প্রিয় লেখক - বাংলা সাহিত্যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রচনা
"কাগজের বউ"; ইংরেজি সাহিত্যে ফিলিপ রথ, রচনা "দ্য ডায়িং এনিম্যাল";
রুশ সাহিত্যে ইভান বুনিন, রচনা "ভালোবাসার ব্যাকরণ (грамматика любви)"
। আমি নিজে খুবই খারাপ ধরনের পাঠক - কোনো রচনার বিষয়, কাঠামো, কৌশল,
শব্দ নির্বাচন আমার মনে না ধরলে পড়তে ইচ্ছে করে না তা সে যত বড়
লেখকের রচনাই হোক না কেন।
৩ । ইন্টারনেট বাংলা সাহিত্যকে অবশ্যই উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেবে বলেই
আমি বিশ্বাস করি । পাঠকের বিবেচনা শক্তি বাড়বে, ভালো লেখার
ক্ষুধা-তেষ্টা বাড়বে - সৃষ্টি বাড়তে বাধ্য যখন তার প্রয়োজন তীব্র
হতে থাকে ।
8 । বাংলা সাহিত্যের অতীত এবং ভবিষ্যত দু'কালই মারাত্মক উজ্জ্বল।
বর্তমান কালটাই শুধু একটু বেশি সময় নিচ্ছে ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নিতে।
৫। যে লেখক ভালো লিখতে পারেন তিনি বাধ্য লিখতে। না লিখলে তার শাস্তি
হওয়া উচিত, হয়ও বটে। যে লেখক ভালো লিখতে পারেন না, তার উচিত লেখার
লোভ সামলানো । বাংলা সাহিত্যে অধুনা নামকরা অনেক লেখকের স্থানে আমি
থাকলে লেখালেখি স্থায়ী ভাবে বাদ দিয়ে দিতাম । বড় পাপ হয় যা তা লিখে
পাঠকের হাতে দিলে, বড় পাপ হয় সাহিত্য, বিজ্ঞান বা প্রকৌশলকে শুধুই
ব্যবসায় পরিণত করলে ।
৬ । বর্তমান প্রজন্মের কাছে আমার প্রত্যাশা? বর্তমান প্রজন্মকে আরও
একটু স্থির, আরো একটু বিবেচক, আরো একটু প্রশিক্ষিত দেখতে পেলে ভালো
লাগতো ।
৭ । একদিন লেখক হবার স্বপ্ন দেখেছিলাম - হতে পারিনি । অন্য অনেক কিছু
লিখে লিখে জীবন কেটে গেলো, সাহিত্যের লেখা হলো না - হবে না - হয়তো
যোগ্য নই ।