আমারা
এবার কার্তিকের কুয়াশা বের করছি মাঘ মাসের শুরুতে। ঋতু হিসেবে এখন শীত
কাল। তাই প্রকৃতি ভীষণ রুক্ষ। ফুল-পাতা বিহীন গাছগুলো নিরাভরণ রূপ নিয়ে
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু আকাশ থেকে যখন পেঁজা তুলোর মতো বরফ ঝরে পড়ে,
তখন প্রকৃতির রূপে আমরা বিমুগ্ধ হয়ে উঠি।
বাংলাদেশের এই সময়টা দারুণ উপভোগ্য! ঘরে ঘরে পুলি-পিঠের আয়োজন চলে
মহাসমারোহে।
আমেরিকার চিত্রটি অবশ্য ভিন্ন।গরম ধোঁয়া ওঠা কফি আর ক্রোসান্ট
(ক্রোয়াসাঁ ) যেন নিত্য দিনের সাথী হয়ে ওঠে।
গত বছরের পুরো সময়টাই গেছে কোভিড- ১৯ এর তান্ডবে। প্রিয় পরিজনের
মৃত্যুতে মানুষ মুষড়ে পড়েছেন সত্য। কিন্তু লেখক/লেখিকাদের লেখা কিন্তু
থেমে থাকেনি। অবিরাম তাঁরা লিখে গেছেন। ঘর-বন্দী মানুষ লেখনীর মাধ্যমে
তাঁদের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন।
২০২১ এ এসে আমরা আশায় আছি কোভিড- ১৯ পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে।
এবারের "কার্তিকের কুয়াশা"য় নিউইয়র্ক থেকে মনিজা রহমান এবং রওশন হক ছোট
গল্প দিয়েছেন। কার্তিকের কুয়াশায় উনারা দু'জন নতুন হলেও নিউইয়র্কের
সাংস্কৃতিক জগতের প্রিয় পরিচিত মুখ। মিশিগান থেকে সাইফুল সিদ্দিকী
পাঠিয়েছেন আবৃত্তি। কবি শায়লা আজীমের কবিতা আমাদের কবিতার পাতাকে আলোকময় করে তুলেছে।
রওশন হাসান, মধুবন্তী আইচ, গোলাম কিবরিয়া, সাগর জামান আর জেবুন্নেছা জোৎস্নার কবিতা
আমাদের কবিতার পাতার একরকম কাব্য কৌমুদী হয়ে উঠেছে। আশা করি সবার ভালো লাগবে। সাইদুজ্জামান রুশ কবিতা
অনুবাদ করেছেন। অনুবাদে উনি বরাবরের মতোই সাবলীল সুন্দর। শিউলী জাহানের
কবিতা বরাবরের মতোই বিশেষভাবে দ্রষ্টব্য।
নতুন -পুরনো সব লেখক লেখিকার সমন্বয়ে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে আমাদের
যাত্রা শুরু হলো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ফরিদা ইয়াসমিন, নিউইয়র্ক নগরী, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র