কার্তিকের
কুয়াশা সাহিত্য পত্রকে হয়তো একটি সর্বগ্রাহী বা বিশ্বন্ধর পত্রিকা বলা
যায় না, তবু নবীন-প্রবীণ, এপার-ওপার দু বাংলার সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা
আধুনিক লেখকদের এক দুর্লভ সমাবেশ ঘটেছে। এই সুষ্ঠু সমাবেশে যে একটি মহৎ
কাজ সম্পন্ন হয়েছে তা মানতেই হয়।
সাম্প্রতিক কালে কার্তিকের কুয়াশার যে কটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে ফরিদা
ইয়াসমিন এবং শিউলী জাহান সম্পাদিত কার্তিক সংখ্যা দুটো তার মধ্যে
বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। কার্তিকের কুয়াশা যে প্রবাসে বাংলা সাহিত্যচর্চার
এক সর্বাঙ্গসম্পন্ন এবং স্থায়ী আসন লাভের অধিকারী বলে গণ্য হবে তাতে
সন্দেহ নেই ।
সম্পাদনার কাজ শেষ করেই ফরিদা ইয়াসমিন এবং শিউলী জাহান দূরে সরে যান
নি। এ সংখ্যায় থাকছে তাঁদের গল্প এবং কবিতা।
একাধারে বৈজ্ঞানিক ও সাহিত্যিক দৃষ্টিভঙ্গির সুষ্ঠু সমাবেশ দুর্লভ। এই
দুর্লভ সমাবেশ ঘটিয়েছেন সাইদুজ্জামান। অনুবাদ সাহিত্যে রুশ কাব্য জগতের
সাথে পাঠকের পরিচয় যেমন করিয়েছেন, তেমনি তাপ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ
কেন্দ্রের প্রধান কাঁচামাল 'পানি'র বিভিন্ন স্তরে পরিশোধনের উপরও
আমাদের খানিকটা ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছেন। সাঈদুজ্জামানের ছোট গল্প
'আকাশ ভরা প্রেম'কে বিবেচক পাঠক ছোট করে দেখবেন না বলেও ধারণা করছি।
রত্না চক্রবর্তী, জয়া চক্রবর্তী সোমা, অরুণোদয় কুন্ডু , এইচ বি রিতা এবং
শিউলী জাহানের কাব্যদক্ষতায় শোভিত হয়েছে এবারের কবিতার পাতা। মধুবন্তী
আইচের আবৃত্তি ছাড়া কার্তিকের কুয়াশা অসম্পূর্ণ থেকে যেত।
দূরগামী হোক কার্তিকের কুয়াশা, পাঠকের মনে দীর্ঘায়ু হোক এ পত্রিকায়
প্রকাশিত সকল লেখা। পৃথিবী-জুড়ে সকল বাঙালির ভেতর সৌভ্রাতৃত্ব অটুট
থাকুক এবং দৃঢ়তর হোক এই কামনা করে এবারের সংখ্যা প্রকাশ করছি।
ফিরোজা হারুন,
ঢাকা, বাংলাদেশ