সৈকত রুশদী

সৈকত রুশদী, বিশিষ্ট সাংবাদিক, ব্রডকাস্টার, রাজনৈতিক
বিশ্লেষক, কবি ও পুরষ্কারে ভূষিত লেখক। জন্ম বাংলাদেশের মেহেরপুর শহরে,
৫ নভেম্বর ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে। তিনি লন্ডন-এ ১৯৮০-এর দশকে বিবিসি
ওয়ার্ল্ড সার্ভিস এবং ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে কানাডা,
অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটিশ কূটনৈতিক মিশনে যথাক্রমে তথ্য কর্মকর্তা ও
রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশের তিনটি
জাতীয় দৈনিক পত্রিকা (দৈনিক দেশ, দৈনিক খবর ও দ্য বাংলাদেশ টাইমস) এবং
তিনটি সাপ্তাহিকী-তে (‘মতামত’, ‘বিচিত্রা’ ও ভারতের ‘দেশ’) কর্মরত
ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার/রেডিও বাংলাদেশ
ও ভয়েস অব আমেরিকা সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং দ্য ডেইলী স্টার
সহ বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সাময়িকী-তে ভাষ্যকার হিসাবে কাজ করেছেন এবং
নিবন্ধ ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস, চ্যানেল আই,
এটিএন ও এটিএন রেডিও/এক্সএম স্যাটেলাইট রেডিও সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম
তাঁর সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। তিনি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ
মিডিয়া ইনটেলিজেন্স প্রতিষ্ঠান সিশন-এ ইভ্যালুয়েশন এডিটর (মূল্যায়ন
সম্পাদক) হিসাবে কর্মরত আছেন কানাডার টরন্টো নগরীতে। তাঁর প্রকাশনার
মধ্যে রয়েছে: অমর একুশে, ভাষা আন্দোলনে শহীদ স্মরণিকা (লন্ডন, ১৯৮৪,
সম্পাদক); হল্ট গ্রীনহাউস, পরিবেশ বিষয়ক সংকলন (ঢাকা, ১৯৯১,
যুগ্ম-সম্পাদক); ও অচিন পাখি, উপন্যাস (ঢাকা, ২০০২ ও ২০২০) । চারুকলা:
শহীদ মিনার, ভাষা শহীদদের স্মরণে কাঠের প্রতিকৃতি (লন্ডন, ১৯৮৫)।
বাদল আহমেদ

একজন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক। বর্তমানে সুইডেন প্রবাসী। প্রবাস
জীবনে সাহিত্য চর্চা করেই কাটে দিনের অনেকটা সময়।
মৌ মধুবন্তী

জন্মসূত্রে নোয়াখালির অধিবাসী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল্য় থেকে
ভূগোল বিভাগে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে কানাডার অন্টারিও প্রদেশের টরন্টো
শহরে বসবাস করছেন। অন্তরের অন্তস্তলে ধারণ করেন কবিতা ও আবৃত্তি। বাংলা
ও ইংরেজি দুই মাধ্যমেই কবিতা লেখেন। হাত দিয়েছেন উপন্যাস লেখায়।
টরন্টোর স্থানীয় পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ লেখেন সামাজিক অবক্ষয়, নারী
উন্নয়ন ও নির্যাতন, এবং নিউ ইমিগ্র্যান্টদের নিয়ে। প্রকাশিত হয়েছে
পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ ও একটি গল্প সংকলন। কাব্যগ্রন্থঃ রক্তনদী একা
(২০০৬), অধরা আইফোন (২০১১), বাতাসে বৃক্ষপ্রেম (২০১২), মন ওড়ে কলাবতী
রাগে (২০১৭), নুনের দুঃখ (২০১৯) এবং গল্প সংকলনঃ মন পুরাণে ম্যারিলিন
মনরো (২০১৩)। পেশাজীবনে অনলাইন বিজনেস ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট।
নাসরিন চৌধুরী

জন্ম কুমিল্লা জেলার হোমনা থানায়। বেডে ওঠা ঢাকায়। ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও এমএ। পিতাঃ ডাক্তার মোশারফ
হোসেন চৌধুরী। মাঃ আমিনা খাতুন। শৈশব থেকে লিখছেন। শিশু সাহিত্য দিয়েই
শুরু। প্রকাশিত হয়েছে আটটি গ্রন্থ। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন যাপন করছেন।
নিউ ইয়র্কে সহকারী স্কুল শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। নিয়মিত লিখছেন
বাংলাদেশ ও প্রবাসের বাংলা পত্রিকায়। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জননী।
স্বামী জসীম উদ্দিন সরকার।
জেবুন্নেছা জোৎস্না

জন্ম - যশোর। যাপিত জীবনে, মননে ধারণ করেন
কবিতা। তবে গল্প ও প্রবন্ধ লেখায়ও সমান আগ্রহ। বাংলাদেশে ও প্রবাসের
বিভিন্ন বাংলা পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। বর্তমান নিবাস
যুক্তরাষ্ট্রের
নিউ ইর্য়কে। পেশা জীবনে একজন কার্ডিয়াক সনোগ্রাফার।
ফরিদ আহমেদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষকতা করেছেন। পরবর্তীতে ক্যানাডায় স্থায়ী বসবাস গড়ে তোলেন।
ছাত্রাবস্থা থেকেই লেখালেখির সুত্রপাত।
স্বদেশ খবর, ভোরের কাগজ, প্রথম আলো, পড়শি ও যায় যায় দিনসহ বিভিন্ন
পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গল্প ও প্রবন্ধসমূহ।
মুক্তমনা ব্লগের মডারেটর হিসেবে যুক্ত ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের
সংখ্যা দশটি। বর্তমানে টরন্টোতে বসবাস করছেন।
কর্মরত আছেন ক্যানাডা রেভেন্যু এজেন্সিতে।
মোরশেদ হাসান

পেশায় চিকিৎসক। মেডিক্যাল কলেজে সহকারী অধ্যাপক।
মানবসেবার পাশাপাশি সাহিত্যসেবার প্রতি প্রবল অনুরাগ। প্রকাশিত হয়েছে
দুটি গ্রন্থ।
মোহিনী মালদ্বীপ প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ এবং দ্বিতীয়টি ব্যাকরণ ও বিবিধ
(নীলা-লিমন সিরিজ-০১)।
লুবনা ইয়াসমিন

কবিতা লেখা হয়তো কখনো কখনো নিজের সাথে কথা বলা, হৃদয়ের কথা
বলা,
আর কখনো কখনো শব্দ, ছন্দের বিন্যাসে একটা সৃষ্টিশীল ভাষার কোলাজ বোনা।
লুবনা ইয়াসমিনের
কবিতা যাপন কিছুটা এরকম। সাম্প্রতিক এক যুগ বাদ দিলে লুবনা ইয়াসমিন-এর
জীবনের প্রায় পুরোটাই
কেটেছে ঢাকা শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে
স্নাতকোত্তর। বাংলা এবং ইংরেজি দুই
ভাষাতেই লেখেন। প্রিয় কবি আবুল হাসান, প্রিয় লেখক পাওলো কোয়েলো।
বর্তমান আবাস কানাডার
অন্টারিও প্রদেশের টরণ্টো শহরে। সবচে' প্রিয় বন্ধু প্রকৃতির নিবিড়
সাহচর্য প্রাণ ভরে উপভোগ করেন,
উদযাপন করেন নিয়ত।
ইশরাত জাহান নেলী

ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্নাতকোত্তর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
পাঠক হিসেবে গল্প, উপন্যাস বেশি পছন্দের হলেও লেখার ক্ষেত্রে কবিতার
প্রাধান্য।
লেখালেখির পাশাপাশি বই পড়া ও ভ্রমণ শখের বিষয়। ইচ্ছে ঘুড়ি নামে একটি
অনলাইন সাহিত্য সংগঠনের উদ্যোক্তা। এই সংগঠন থেকে প্রকাশিত হয়েছে
'ইচ্ছে ঘুড়ি' নামে একটি কাব্য সংকলন। বর্তমান আবাস ক্যানাডার অন্টারিও
প্রদেশের টরন্টো শহরে। একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে প্রোডাকশন
এসোসিয়েট
হিসেবে কর্মরত আছেন।
শিউলী জাহান

জন্ম: ১০আগস্ট। পৈতৃকসূত্র: মানিকগঞ্জ জেলা, সিঙ্গাইর থানা,
পারিল গ্রাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও
স্নাতকোত্তর।
সাংবাদিকতা দিয়ে পেশাজীবন এবং লেখালেখির জগতে প্রবেশ। জড়িত ছিলেন বেশ
কিছু সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক পত্রিকায়। প্রকাশিত হয়েছে দু’টি কাব্যগ্রন্থ
–
আশার বাগানে নীল প্রজাপতি; দ্রোহের সাত রঙ। কবিতাই তার আরাধনা। কবিতার
নিগড়ে বেঁধে থাকতেই পছন্দ করেন। তবে সব ধরণের লেখা ও পড়ার প্রতি আগ্রহী
যাকিছু মন ও হৃদয়কে আন্দোলিত করে, ভাবনার সাগরে ঢেউ তোলে। প্রকৃতি ও
মানুষ তার লেখার মূল বিষয়। বর্তমান নিবাস কানাডার টরন্টো শহরে। বর্তমানে
কানাডার
একটি প্রতিষ্ঠানে বিশ্লেষক (Analyst) হিসেবে কর্মরত আছেন।
ফিরোজা হারুন
জন্মঃ জানুয়ারি ১, ১৯৪৪, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার হরিরামপুর
গ্রামে। স্নেহময় পিতা জনাব আব্দুস সোবহান বিশ্বাস ও মাতা জুবাইদা
খাতুনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা।শিক্ষাঃ ময়মনসিংহ বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়। তারপর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কলেজ হতে বি.এ. পাশ করে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতিহাসে এম. এ. সমাপ্ত করে ময়মনসিংহ টিচার্স
ট্রেনিং কলেজ ফর উইমেন থেকে বি. এড. ডিগ্রী অর্জন এবং ঢাকায় আদমজী
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে যোগদান। এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের
জননী ফিরোজা হারুনের সাহিত্য অঙ্গনের অগ্রযাত্রার মূলে প্রেরণা
যুগিয়েছে তাঁর স্বামী ডাঃ মোহাম্মদ হারুন। তাঁর প্রথম উপন্যাস
'জীবনেরে কে রাখিতে পারে' সাপ্তাহিক রোববারে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশের
পর ১৯৯৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। আর আন্তর্জালে প্রকাশ
পেয়েছে ২০০৮ সালে। দ্বিতীয় প্রকাশিত উপন্যাস ২০০০ সালে 'সুখের
লাগিয়া'। ২০০৮ এ প্রকাশিত হয়েছে আরো ছয়টি গ্রন্থ। কিশোর সংকলন
-মেঘরাজা রোদরাজা, কাব্য সংকলন-নিশি লোর, উপন্যাস-প্রতীক্ষা, তিন
পুরুষের গল্প, স্মৃতির দুয়ারে এবং গল্প ও প্রবন্ধ সংকলন-ছিন্ন বীণার
তার। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি সমাজকল্যাণ মূলক কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁর মায়ের স্মৃতিস্মরণে একটি প্রাইমারি স্কুল তাঁরই
নিজ গ্রামে।
মধুবন্তী আইচ

জন্ম ২৯ মে, কোলকাতায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক
সাহিত্যে ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমান নিবাস গুজরাটের ভাদোদরা শহরে।
এ কে এম সাইদুজ্জামান

জন্ম ১২ই আগস্ট বাংলাদেশে। শিক্ষা সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং কানাডায়। সোভিয়েত
ইউনিয়নের আজেরবাইজান সিভিল এঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম সিভিল
এঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রি, আজেরবাইজান তৈল ও রসায়ন ইনস্টিটিউট থেকে তাপ
এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জল শোধনের উপর গবেষণার জন্য রুশ
ফেডারেশন প্রদত্ত পি এইচ ডি ডিগ্রি,কানাডার কনকোর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে প্রথমে এনভায়রনমেন্টাল এঞ্জিনিয়ারিংএ গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট এবং
সব শেষে সিভিল এঞ্জিনিয়ারিংএ পি এইচ ডি। বিদ্যালয়ে বিচরণ ঢের হয়েছে
বিধায় এরপর থেকে বিদ্যালয় থেকে দূরে থেকেছি। বর্তমানে কানাডার অন্টারিও
প্রভিন্সে অনুমতিপ্রাপ্ত লাইসেন্সধারী প্রকৌশলী।
Diogenes the Cynic এর মতো ভাবতে ভালবাসি, "আমি এই পৃথিবীর নাগরিক ।"
অবাস্তব ভাবনা বৈকি! যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডার বিভিন্ন শহরে, এক
বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষকতা এবং সিভল এঞ্জিনিয়ারিং পেশায় আমি
সর্বদাই সাময়িক এক কর্মজীবী। সর্বদা সাময়িক আর চিরস্থায়ী বস্তুত একই
বস্তু বলে বোধ করি । জীবিকা অর্জনের তাগিদে সিভল এঞ্জিনিয়ারিংয়ের
নিরস কর্মকান্ড আমার জীবনে এক স্থায়িত্ব দখল করে ফেলেছে। সেই যৌবন
থেকে ভেবেছি মিস্তিরিগিরি সাময়িক দুএকটি বছর করে পাকাপোক্ত ভাবে
সাহিত্য জগতে ঢুকে পড়ব - বাস্তব তা হতে দেয়নি । আর সামান্য একটু বেশি
সাহস থাকলে ভদ্র গোছের একজন লেখক হতে পারতাম হয়তো । ১৯৭৯ সালে প্রথম
লিখেছি, ১৯৮০-১৯৮১ তে একালের নামকরা লেখকদের সাথে সেকালে সাহিত্যের
দারুন আড্ডা দিয়েছি - এই স্মৃতিটুকু সম্বল করেই এই বুড়ো বয়সে
সাহিত্যের পথে আমার এই বিলম্বিত যাত্রার শুরু । আমার সাহিত্য রচনা
যাঁরা পছন্দ করেছেন, কাকতালীয়ভাবেই তাঁদের অনেকেই জীবনের কোনো এক সময়
নিদারুন মস্তিস্ক বিকৃতির প্রমান রেখেছেন, আর এ ব্যাপারটাও ফলত আমাকে
বেশ নিরুত্সাহিত করেছে । গোটা দুয়েক বই, ডজন খানেক রচনা আমার ছাপা
হয়েছে - তবে তা সাহিত্যের নয়, বাংলা ভাষায়ও নয় । ইংরেজি এবং রুশ
ভাষায় লেখা ওই রচনাগুলো । গোটা চারেক ছোট গল্প বাংলায় লিখিয়ে
নিয়েছে আমার বন্ধুরা, তা ছাপানোর ব্যবস্থাও তাঁরাই করেছেন । পাঠকদের
কেউ কেউ আবেগে মন্তব্য করেছেন সব কটি লেখাই নাকি শ্রেষ্ঠ । এরকম
মন্তব্য আমাকে নিরুত্সাহিতই করেছে এতকাল । যদি সত্যিই আমার লেখাগুলো
ভালো হয়ে থাকে তবে হয়তো পঞ্চম লেখাটি আর সেরকম ভালো হবে না ।
১ । কেন লিখি? পাঠকের অনুরোধের ঢেকি গিলি।
২ । আমার প্রিয় লেখক - বাংলা সাহিত্যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রচনা
"কাগজের বউ"; ইংরেজি সাহিত্যে ফিলিপ রথ, রচনা "দ্য ডায়িং এনিম্যাল";
রুশ সাহিত্যে ইভান বুনিন, রচনা "ভালোবাসার ব্যাকরণ (грамматика любви)"
। আমি নিজে খুবই খারাপ ধরনের পাঠক - কোনো রচনার বিষয়, কাঠামো, কৌশল,
শব্দ নির্বাচন আমার মনে না ধরলে পড়তে ইচ্ছে করে না তা সে যত বড়
লেখকের রচনাই হোক না কেন।
৩ । ইন্টারনেট বাংলা সাহিত্যকে অবশ্যই উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেবে বলেই
আমি বিশ্বাস করি । পাঠকের বিবেচনা শক্তি বাড়বে, ভালো লেখার
ক্ষুধা-তেষ্টা বাড়বে - সৃষ্টি বাড়তে বাধ্য যখন তার প্রয়োজন তীব্র
হতে থাকে ।
8 । বাংলা সাহিত্যের অতীত এবং ভবিষ্যত দু'কালই মারাত্মক উজ্জ্বল।
বর্তমান কালটাই শুধু একটু বেশি সময় নিচ্ছে ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নিতে।
৫। যে লেখক ভালো লিখতে পারেন তিনি বাধ্য লিখতে। না লিখলে তার শাস্তি
হওয়া উচিত, হয়ও বটে। যে লেখক ভালো লিখতে পারেন না, তার উচিত লেখার
লোভ সামলানো । বাংলা সাহিত্যে অধুনা নামকরা অনেক লেখকের স্থানে আমি
থাকলে লেখালেখি স্থায়ী ভাবে বাদ দিয়ে দিতাম । বড় পাপ হয় যা তা লিখে
পাঠকের হাতে দিলে, বড় পাপ হয় সাহিত্য, বিজ্ঞান বা প্রকৌশলকে শুধুই
ব্যবসায় পরিণত করলে ।
৬ । বর্তমান প্রজন্মের কাছে আমার প্রত্যাশা? বর্তমান প্রজন্মকে আরও
একটু স্থির, আরো একটু বিবেচক, আরো একটু প্রশিক্ষিত দেখতে পেলে ভালো
লাগতো ।
৭ । একদিন লেখক হবার স্বপ্ন দেখেছিলাম - হতে পারিনি । অন্য অনেক কিছু
লিখে লিখে জীবন কেটে গেলো, সাহিত্যের লেখা হলো না - হবে না - হয়তো
যোগ্য নই ।