টরন্টো, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০ নভো সংখ্যা ১২
              
হোমপেজ সম্পাদকীয় পাঠক পরিষদের কথা কবিতা ছোট গল্প ধারাবাহিক পাঠাগার আর্কাইভ লেখক পরিচিতি প্রবন্ধ যোগাযোগ আবৃত্তি

কার্তিকের কুয়াশা

সম্পাদকীয়

কার্তিকের কুয়াশা কার্তিকেও বেরোয়নি, ভাদ্রেও না, এখন কালে ভদ্রে বেরুচ্ছে। দুঃখের ব্যাপার বৈকি! এই মন্থর গতির অন্যতম প্রধান কারণ লেখকের উৎসাহে ভাটা। আর জোয়ারটা এখন ফেসবুকে, কারণ সহজেই এবং স্বাধীনভাবে প্রকাশ করা যায়। করতালিও সহজলভ্য ওখানেই। এতসব ইতিবাচক দিক থাকা সত্ত্বেও ভালো লেখা কদাচিৎ চোখে পড়ে। এ ছাড়াও লেখকের ভেতর প্রত্যক্ষ আলস্যময়তা আমাকে নিরাশ করে আসছে। অভিধান খুলে বানানটা দেখে নেবার সামান্য কষ্টটুকুও আজকের লেখক করতে চাননা। একটা সময় ছিল যখন লেখক মাত্রেই ভালো ব্যাকরণ জানতেন, কবি মানেই ছন্দের ভিতর-বাহির। এখন ওসবের বালাই নেই - এখন লেখক স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছেন। আর পাঠকের কথা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। ধরে বেঁধে কাউকে হয়তো সাহিত্যের লেখা পাঠ করে শোনানো সম্ভব আজও। তবু তিনি নিজে থেকে কিছু পড়বেন না।  বাংলা সাহিত্যের অনেক আধুনিক কবিকেই দেখি মুক্তছন্দে কবিতা লিখছেন, কিসের থেকে মুক্তি নিলেন তা সম্পূর্ণ না বুঝেই। এ বিষয়ে শঙ্খ ঘোষের "ছন্দের বারান্দা" নামে একটি বই আছে। এ বইটি পড়লে আজকের কবি যথেষ্ট উপকৃত হবেন বলেই মনে করি। আর যাঁরা গদ্য লিখছেন তাঁদের জন্য শামসুল হকের "মার্জিনে মন্তব্য" বইটি অবশ্য-পাঠ্য। যাহোক বাংলা সাহিত্য বিষয়ে আমার "এই আছে, এই নাই" জাতীয় দীনমনস্কতার কালে বেশ কিছু নবীন এবং প্রবীণ লেখকের লেখা একসঙ্গে প্রকাশ করতে পেরে আমি আনন্দিত।

 

সাইদুজ্জামান, টরন্টো, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০