টরন্টো, ১২ই বৈশাখ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, নভো সংখ্যা ৩১
              
হোমপেজ সম্পাদকীয় পাঠক পরিষদের কথা কবিতা ছোট গল্প ধারাবাহিক সাহিত্য সংবাদ ভ্রমণ কাহিনি বিশেষ নিবন্ধ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল আবৃত্তি / কণ্ঠসঙ্গীত পাঠাগার আর্কাইভ লেখক পরিচিতি যোগাযোগ

কার্তিকের কুয়াশা

মানালি তে মনুদর্শন

- অরুণোদয় কুণ্ডু

 

মানালি তে ঘুরতে এসেছি কলেজের সহকর্মীদের সাথে। এটা আমার সেই ভবঘুরে ভ্রমণ নয়। নয় ধরাচূ়ড়ো পিঠে পর্বতাভিযান ও। নেহাতই প্যাকেজ ট্যুর। গাড়ি হোটেল সব রিজার্ভ, স্পট ভিউয়িং, সেলফি এই সবের জ্বালায় বাউন্ডুলে মনটা ব্যতিব্যস্ত। হিমালয়ের রূপে মুগ্ধ হচ্ছি, কিন্তু সে যেন সেই সদ্য ছাড়াছড়ি হওয়া প্রেমিকার মত দূরে দূরে আছে। আর এই সময় যে তাদের সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায়, তা লেঙ্গী খাওয়া প্রেমিক মাত্রেই একবাক্যে স্বীকার করবে। সারা দিন ধরে নানা স্পট তো হল। বিকেলের দিকে গাড়ি হোটেলের দোরগোড়ায়। আমি ড্রাইভার কে জিজ্ঞাসা করলাম মনু টেম্পল যাবার রাস্তা। বাকিরা আর যাবেনা এদিকে। আর প্যাকেজে উল্লিখিত স্পটের মধ্য ছিলনা, তাই পথে একটা বোর্ডে দেখে উৎসাহ জাগলেও কিছু করার ছিলনা। উইকিপিডয়ায় জেনেছিলাম এটি বহু প্রাচীন মন্দির। বৈবস্বত মনু নাকি এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই প্রাগৈতিহাসিক মন্দির এখন না থাকলেও আছে একই স্থানে নির্মিত একটি মন্দির। ইতিহাস আর অচেনা পথের হাতছানি আমার অভিযাত্রী রক্তটাতে ফুঁট ধরিয়ে দিল। তাই তিনটার মধ্য সব পয়েন্ট খতম করে সকলে বিশ্রামে, আর আমি ড্রাইভারের থেকে পথ জেনে সকালে দেখা সেই বোর্ডের কাছে এসে হাঁটা লাগালাম উপরের দিকে। মন্দিরটি ওল্ড মানালির দিকে। পুরানো রংচটা কিন্তু সাবেকি কায়দার হোটেল, দোকান গুলো বেশ দৃষ্টি সুখ দিচ্ছিল পথের দু'ধারে। মনে আসছিল ছোটবেলায় পড়া সেই পুরাণের মৎস্য অবতারের গল্পের কথা। মৎস্য হিসাবে বিষ্ণুর মনুর গণ্ডুষ মাত্র থেকে ক্রমান্বয়ে বড় হতে হতে সমুদ্রের আকার ধারণ এবং মহাপ্রলয়ের সময় সব জীবের বীজের আধার মনুর তৈরি নৌকাকে রক্ষা। গ্রীক পুরাণের নোহ এর গল্পও মনুর মতই পরিণতির কথা বলে। কোথায় যেন, সেই সুদূর গ্রীক সভ্যতা আর আমাদের পুরাণ এর সম্পর্ক গুলো এক সুতোয় বাঁধা হয়ে যায়। এই সব কিংবদন্তি শোনার সময় ছোটবেলায় যে রোমাঞ্চ হত তা যেন এই নির্জন পাহাড়ি পথেও আবার শিরশিরানি হয়ে দেখা দিল। তার সাথে সঙ্গত দিয়ে পড়ন্ত রোদ আর শন শন হওয়া রোমাঞ্চের আবহকে আরো খোলতাই করে তুলল। এসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে এদিক ওদিক বেঁকে অনেকটা চড়াই পেরিয়ে পৌঁছানো গেল গ্রামের উপকন্ঠে। পথে বেশ কিছু বাড়ির দেওয়ালে স্থানীয় ম্যাপ আঁকা আছে , তা থেকে বুঝলাম এই পথ গ্রাম ছেড়ে বিভিন্ন পাহাড়ি পথ পেরিয়ে পৌঁছে গেছে সোলাং ভ্যালির দিকে। সেই সোলাং ভ্যালি, যেখানে রোপওয়ে প্যারাগ্লাইডিং অথবা বরফের সময় স্কি করার আনন্দ নিতে দলে দলে লোক জড়ো হয়। পথের দূরত্ব এগারো কিলোমিটার দেখাচ্ছে।অর্থাৎ আমাদের মতো সমতলের পথযাত্রীদের জন্য একদিনের পারাও। গ্রামবাসীরা প্রায়ই যান। সেই পথ বরাবরই মূল রাস্তা থেকে বাঁক নিয়ে কিছুদূর এগিয়ে যেতে একটি বোর্ড বলে দিল আমি মনু মন্দিরের কাছাকাছি এসে পড়েছি। কিন্তু সেটা একটা পাহাড়ী বস্তির মত এলাকা। ঘিঞ্জি দোকান, তারই মাঝে থাকার জায়গা। ধুলোমাখা জামাকাপড় গায়ে ফুটফুটে পাহাড়ি শিশু পথের মাঝেই খেলা জুড়েছে। মাথায় বিশাল ঘাসের মত কোনও উদ্ভিদের পাতার ঝাঁকা নিয়ে চলেছে পাহাড়ি মেয়েরা। কিছু দোকানদার আমার পোশাকে ট্যুরিস্ট সত্তার হদিশ পেয়ে, খদ্দের ধরার যুদ্ধে লেগে পড়ল। আমি তাদের থেকেই জানলাম যে সামনে যে মন্দিরটা দেখা যাচ্ছে সেটাই মনু মন্দির। যদিও তাতে প্রাচীনত্বের লেশমাত্র নেই কিন্তু পাহাড়ি বাঁকের খোলা চত্বরে আকাশ আর বরফ ঢাকা শেষ বিকেলের নীলচে পাহাড়ের ক্যানভাস সে মন্দিরকে এক অন্যরূপ দিয়েছিল। মন্দিরটা একটু উঁচু একটা পাথর বাঁধানো চত্বরের উপরে। ওঠার সিঁড়ি আছে। উঠে দেখলাম সেই চত্বরের মধ্য কিছু প্রাচীন সৌধের ধ্বংস পড়ে রয়েছে। সহজেই আন্দাজ করা যায় এগুলি প্রাচীন মন্দিরের অবশিষ্ট ভগ্নাবশেষ। তবে তাতে না আছে কোনো কারুকার্য না আছে তাকে মন্দির বলে ভাবার মতো কোনো চরিত্র। শুধুই কিছু বিশেষ আকৃতির পাথর। তবে বিশেষত্ব এই, এরা যে প্রকৃতির বুনোটে তৈরি নয়, সেটা সহজেই বোঝা যায়। চত্বরের একধারে মন্দির। যথারীতি লেখা আছে ছবি তোলা নিষেধ। কিন্তু সেই নিয়ম পালন হচ্ছে কিনা তা দেখার কেউ নেই। একজন রক্ষীকে চত্বরের একধারে চোখে পড়লো বটে কিন্তু তার নজর এদিকে নেই। সুতরাং আমি সুযোগের সদব্যবহার করলাম। মন্দিরের ভিতরে গিয়ে গর্ভগৃহের মধ্য আধো আলো য় থাকা সিঁদুর এবং আরও নানা অনাড়ম্বর আবরণ লেপা রুদ্রাক্ষের মালা পরানো প্রাচীন পাথরের মুর্তির ছবি তুললাম। চোখের দেখায় সেই পাথরের প্রাচীনত্ব স্পষ্টভাবেই বোঝা যায়। বোঝা যায় এককালে তাতে কারুকার্য ছিল কিন্তু কালের ক্ষয় হয়ে সেই সব নকশা সমান হয়ে এসেছে। একক পুরুষ মূর্তি এখনো রয়েছে, তবে সেই পুরুষ এবং তার বাহন যে কে তা চেনার উপায় নেই। শ্বেত পাথর বাঁধানো বেশ কিছুটা দালানের মত জায়গা রয়েছে মন্দিরের ভেতরে। এখানে ভক্তেরা বসে পূজা দর্শন অথবা জপধ্যান করার সুযোগ পাবেন বলেই মনে হয়। কিছু কিছু জায়গায় ব্যারিকেডের উপকরণ রাখা আছে। অর্থাৎ বছরের বিশেষ সময় এখানে অধিক জনসমাগম হয়। এর বেশি কিছু আর দেখা গেল না। আমি গর্ভগৃহ প্রদক্ষিণ করে দেয়ালে আঁকা বিভিন্ন ঠাকুর দেবতার ছবি দেখতে দেখতে আবার বাইরের দরজার কাছে এসে হাজির হলাম। মন্দিরকে এবার বাইরে থেকে ভালো মতো দেখার পালা। পাথরকে ইটের মতো আকৃতিতে কেটে সেই ইটের গাঁথুনিতে মন্দির উঠেছে। সাথে রয়েছে কাঠের কার্নিশ। সেখানে কাঠের কিছু কিছু কারুকাজ দেখা যায়। মন্দিরের চূড়ার পাশের কার্নিশ এবং বাইরে বারান্দার বেশ কিছু অংশে কাঠের থামে হয়ে যাওয়া অনেক কাঠের কাজ লক্ষ্য করা যায়। এই কাঠের অংশগুলি টিনের চাল দেওয়া। বারান্দার অংশের মধ্যেই এক জায়গায় দেওয়ালে চোখে পড়লো স্থানীয় আর্কিওলজি ডিপার্টমেন্টের দেওয়া মন্দিরের বিবরণের বোর্ড। ছোট ছোট অক্ষরে অনেক কথাই লেখা আছে। আপাতত তথ্যের আখর বলতে এটুকুই। কারণ এই মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে কোনও গবেষণামূলক গ্রন্থ আছে কিনা জানিনা। সেসব খুঁজে দেখার উদ্দেশ্য নিয়ে আসাও হয়নি । খালি পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা যেটুকু ইতিহাস আর নস্টালজিয়া পাওয়া যায় সেটুকুই দু'হাত ভরে কুড়িয়ে নিতেই এখানে আসা। তবে যতই পড়তে লাগলাম তত ই চমক বাড়তে থাকল।
লেখাটি প্রথমে শুরু হয়েছে মৎস্য অবতারের সেই গল্প দিয়ে। বাসুকি নাগ এর দড়ি দিয়ে মৎস্য অবতার এর মাথার শিং এর সাথে মনুর নৌকা বাঁধা এবং সেই জগৎ ব্যাপী প্রলয় বন্যার মধ্যে দিয়ে অন্তহীন চলা। সেই প্রলয়ের রাত পেরিয়ে যখন সকাল হলো। তখন ভগবান বিষ্ণু হিমালয়ের কোনও এক উচ্চ অংশে সেই নৌকা ভেরালেন। মনু তার সাথে থাকা সপ্তর্ষি এবং সমস্ত ধরনের জীবের বীজ নিয়ে আবার নতুন জগৎ সংসার রচনা করলেন প্রলয় শেষে। এখন সেই নৌকা ভেরানোর স্থান এই মানালি কিনা তার কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। কিন্তু মানালির স্থানীয় ইতিহাস এবং সেখানকার উপকথা থেকে জানা যায় এই মানালির প্রাচীন নাম ছিল "মনুআলয়া" ( এই থেকেই অপভ্রংশ হয়ে মানালি নামটি পরবর্তীকালে এসেছে) অর্থাৎ মনুর আলয় বা বাসস্থান। এর থেকে সহজেই বোঝা যায় হয়তো কোন এক সময় মনু এই স্থানে ছিলেন। এই এলাকার প্রাচীন যে সমস্ত অনুষ্ঠান বা মেলার কথা জানা যায় লোকমুখে, তার সাথে বৈবস্বত মনুর যোগাযোগ স্পষ্ট। এই জায়গায় মনুর প্রাচীন মন্দির কোন সময় তৈরি হয়েছিল সে ব্যাপারেও কোনও ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায় না। বর্তমান মন্দিরটি তৈরি হওয়ার আগে এই জায়গায় একটি চালাঘরের আকৃতির মন্দির ছিল। এই চালাঘরের মন্দিরটি তৈরীর মূল কারণ ছিল এই চত্বর জায়গা থেকে উদ্ধার করা বেশ কিছু প্রাচীন পাথরের দেবদেবীর মূর্তি। এগুলো ওই মন্দিরটিতে পূজা করা হতো। বর্তমান মন্দিরেও সেইসব মূর্তির অবশিষ্টাংশ গুলিই পূজা হচ্ছে ১৯৯১ সালে এই নতুন মন্দির তৈরির পর থেকে। স্থানীয় লোক কথা থেকে জানা যায় এই মন্দিরের কাছেই "দেউ রাত ঘর" নামে একটি বাড়ি ছিল। সেখানেই কোনো বাড়ির মেয়ে গরুর গোবর পরিষ্কারের সময় কোদালের ডগায় মূর্তির পাথরের অস্তিত্বের আবিষ্কার করে। কোদালের আঘাতে সেই পাথরের মূর্তি থেকে রক্তপাত হতে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই কাছের মানুষদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয় এবং জায়গাটি খনন করে আরো অনেকগুলি মুর্তি পাওয়া যায়। তখন সমস্ত গ্রামবাসী মিলে ওই চালাঘরের মন্দিরটি নির্মাণ করেন এবং এই মুর্তি গুলির পূজা চালু হয়। এরকম আরো অনেক কথাই স্থানীয় মানুষদের মধ্য আজও প্রচলিত আছে এবং সেই কথাতে এখানের গ্রামবাসীর দৃঢ় বিশ্বাস অধিষ্ঠান করছে। এ রকমই একটি গল্প থেকে জানা যায় বৈবস্বত মনু সন্ন্যাসীর বেশে "দেউ রা ঘর" বাড়িতে এসে দুধ চান। কিন্তু সেই সময় বাড়িতে কোন দুগ্ধবতী গরু ছিল না। শুধুমাত্র একটি বাছুর ছিল। তাই গৃহকর্ত্রী সন্ন্যাসী কে দুধ দেওয়ার অপারগতার কথা জানান। সন্ন্যাসী অনুরোধ করেন ওই বাছুরটিকেই দোয়ার জন্য এবং আশ্চর্যভাবে সেই বাছুরের কাছ থেকেই দুধ পাওয়া যায় যা মনু বেশধারী সন্ন্যাসী গ্রহণ করেন। অন্য একটি গল্প থেকে জানা যাচ্ছে এই এলাকাটি তুন্ডী নামে একটি ভয়ঙ্কর দৈত্যের অধিকারে ছিল, যার অত্যাচারে এখানের মানুষের জীবন জীবিকা এবং সংস্কৃতি চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। এখানেও মনু শান্ডিল্য ঋষির বেশে এসে এই দানবের হাত থেকে এলাকাবাসীকে মুক্তি দেন। সেই দিনটিকে মনে রেখে আজও স্থানীয় উৎসব দিওয়ালি এবং ফাগলী অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবছর। যদিও এই দিওয়ালি আমাদের পরিচিত কালীপুজো দিওয়ালির সাথে এক নয়। এতগুলো গল্প এবং পৌরাণিক কাহিনী মনটাকে পৌঁছে দিয়েছিল সেই পৌরাণিক যুগেই। যেন দেখতে পাচ্ছিলাম কোদালের ধাক্কায় সেই মুর্তির রক্তপাত। সেই রক্তের দাগ যেন সিঁদুরের দাগ হয়ে ওই গর্ভগৃহের মূর্তিটার গায়ে লেগে আছে। লেগে আছে স্থানীয় মানুষের অকৃত্রিম বিশ্বাসে। যেখানে প্রত্নতত্ত্ব ইতিহাসের যুক্তির মারপ্যাঁচ পৌঁছতে পারেনা। কিন্তু পৌঁছে যায় বিশ্বাস। পৌঁছায় সংস্কৃতি আর এই অচেনা জগতের মানুষগুলোর ভালোলাগা-মন্দলাগা নিত্যনৈমিত্তিকি। মন্দিরের দাওয়া ছেড়ে এবার চত্বরের মধ্যে এসে বসলাম একটি পাথরের বেঞ্চিতে। সামনের বরফঢাকা পাহাড় গুলিতে সূর্যের হলুদ রং লাল হতে শুরু করেছে। আলো কমছে আর আকাশ সাজছে অস্তরাগের রঙে। সেই রক্তিম সন্ধ্যার রূপ। কোন আদিম যুগে বৈবস্বত মনু এই জায়গাটিতেই ঠিক আমার মত করেই বসে উপভোগ করেছিলেন কিনা কে জানে? কিন্তু আজকের এই নির্জনতার অবকাশে ওই দৃশ্য যেন অপ্রমানিত পৌরাণিক ইতিহাসের সাথে এক হয়ে গিয়ে এক নতুন উপলব্ধির জন্ম দিল। ওল্ড মানালি থেকে সূর্যাস্তের এই অপরূপ রঙের খেলা দেখার সৌভাগ্য ওই দামী হোটেলে আড়ম্বরে ডুবে থাকা মানুষগুলোর অধরা থেকে যায়। তাদের যুক্তি বলে ওল্ড মানালি তে দেখার তেমন কিছু নেই। সেই যুক্তিকে অর্থ হীন করে দেয় এই নীরব অস্তরাগের মুহূর্ত। কিন্তু তারপরেও এই ইতিহাস লোককথা সর্বোপরি এই সৌন্দর্য্য ব্রাত্যই থেকে যাবে। আমার মত কিছু ভবঘুরে পাগলের কাছে অথবা মনুর কিংবদন্তীতে বিশ্বাস স্থাপন করা কিছু মানুষের অনুভূতির রাজ্যে বিচরণ করবেন মনু। পুরাণ অনুযায়ী আমাদের মনুষ্য জাতির পিতা। সেই পৈতৃক ভিটের মাটির ছোঁয়া মাখা ধ্বংস স্তুপের পাথর, প্রাচীন পাথরের মুর্তি যেন ওই অবিরাম কাজ করে চলা গ্রাম্য মানুষ গুলোর সরল বিশ্বাসের মিঠে আশ্রয়ে অমর হবে সভ্যতার দম্ভের মানালির আড়ালে। মনু আলয় থেকে দিনের শেষ আলোর রক্তিম আভা মেখে যখন হোটেলে ফিরলাম তখন সন্ধ্যা হয়েছে। দুপুর বিকেলের আরামের বিছানা ছেড়ে রাস্তায় টো টো করার জন্য খানিক মস্করার শিকারও হলাম। কিন্তু তা ওই অস্তরাগের আভাকে ছুঁতে পারল না। কারণ সে যে সবার কাছে দেয়না ধরা।

লেখকঃ অরুণোদয় কুণ্ডু
মোবাইলঃ 9830580357
ঠিকানাঃ 17/7/4 নরসিংহ দত্ত রোড, কদমতলা, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, পিন – 711101।
17/7/4 Narasingha Dutta Road, kadamtala, Howrah, West Bengal, India, pin-711101.