টরন্টো, ১২ই বৈশাখ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, নভো সংখ্যা ৩১ 
              
হোমপেজ সম্পাদকীয় পাঠক পরিষদের কথা কবিতা ছোট গল্প ধারাবাহিক সাহিত্য সংবাদ ভ্রমণ কাহিনি বিশেষ নিবন্ধ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল আবৃত্তি / কণ্ঠসঙ্গীত পাঠাগার আর্কাইভ লেখক পরিচিতি যোগাযোগ

কার্তিকের কুয়াশা

সম্পাদকীয়

 

 

কার্তিকের কুয়াশার বৈশাখী সংখ্যা নিবেদন করা হচ্ছে নববর্ষ উপলক্ষে। ঠিক পহেলা বৈশাখে হয়ে না উঠলেও,  দেরিতেও আমাদের মনপ্রাণ  ভরে আছে নববর্ষের আনন্দ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির আশায়। প্রস্থিত  বছরের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে আমরা নতুন করে এক  আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নিচ্ছি নতুন বছরকে। বরণ করে নিচ্ছি নবীন কবি-সাহিত্যিক-লেখককে কার্তিকের অপরূপ কুয়াশায় ঢাকা  সাহিত্যপত্র কার্তিকের কুয়াশায়।  


বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। সে সময় বাংলার কৃষকরা চৈত্রমাসের শেষদিন পর্যন্ত জমিদার এবং অন্যান্য ভূ-স্বামীর খাজনা পরিশোধ করতেন। পরদিন নববর্ষে ভূস্বামীরা তাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। এ উপলক্ষে তখন মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। এখন পহেলা বৈশাখ মিশে গেছে আমাদের সকলের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে। 

বর্ষবরণের চমকপ্রদ ও জমজমাট আয়োজন ঘটে প্রবাসেও । টরোন্টোতে  বৈশাখী উৎসবের অনুষ্ঠানমালা এক মিলন মেলার সৃষ্টি করে। নববর্ষের প্রথম প্রভাতে ড্যানফোর্থ ও এর চারপাশের এলাকায় উচ্ছল জনস্রোতে সৃষ্টি হয় জাতীয় বন্ধন।


এ সংখ্যায় বেশ কিছু নতুন গল্প-কবিতা নির্বাচিত হয়েছে। আশা  করি   সবার ভালো লাগবে। শুভ হোক নববর্ষ - শুভ হোক বাংলা  সাহিত্য। 





 

সাইদুজ্জামান, টরন্টো, কানাডা।