টরন্টো, ১২ই বৈশাখ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, নভো সংখ্যা ৩১  
              
হোমপেজ সম্পাদকীয় পাঠক পরিষদের কথা কবিতা ছোট গল্প ধারাবাহিক সাহিত্য সংবাদ ভ্রমণ কাহিনি বিশেষ নিবন্ধ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল আবৃত্তি / কণ্ঠসঙ্গীত পাঠাগার আর্কাইভ লেখক পরিচিতি যোগাযোগ

কার্তিকের কুয়াশা

 

কবিতার পাতা

 

 

 

 

 

 

এসো হে নূতন।।

 

- গৌতম  সাহা

 

এসো হে সুন্দর
এসো নির্মল
এসো হে
এসো সপ্তবর্ণ নিয়ে
এসো গন্ধ বর্ণ দিয়ে
এসো প্রাণের পরশে
যা গেছে হয়তো নাই
যা আছে নিয়ে তাই
অফুরান প্রাণে এসো
এসো নতুন দিনের হরষে
এসো হে নূতনে
এসো পরিবর্তনে
আকাশ কন্যা তুমি বরষে
এসো বৈশাখে
এসো হে নূতন আবেগে আবেশে।
- অধরা কালেকশন্।
০৮.০৪.২২।

 

 

 

 

 

কাল আমাদের বৈশাখ

--- আরিয়ান মোঃ সামি

কাল আমাদের বৈশাখ
হৃদয় মাঝে এক নতুন উল্লাস,
ওই দিগন্ত-জোড়া আকাশ,
ওই সবুজে ঢাকা মাঠ
ওই নীল নদী-প্রান্তর,
সব হয়ে নিরন্তর
উদয় হবে এক নতুন সূর্যের,
ধান ক্ষেতের মাঝে ফুটবে নতুন হাসি,
নতুন বছরের নতুন আঙিনায়-
কাটিয়ে সব ক্লান্তি,
থাকব আমরা হাসি-খুশি।।
পুরাতনকে পেছনে ফেলে
এগবো আমরা নতুন পথে,
চলবো নতুন বছরের হাত ধরে,
হবোনা কভু আশাহারা,এই নতুন সীমা-প্রান্তরে।।

 

 

 

 

নবীনের শপথ ?

রত্না চক্রবর্তী


১৫.৪.২২
বৃদ্ধপিতা যাবার সময়
শেষ কথা ছিল তার,
"সবাইকে তুমি ভালো রেখ
দিয়ে গেলাম ভার।
আমার না পারা কাজগুলো সব
পার যেন করতে,
আমার দায়টা নিজের কাঁধে
পার যেন বইতে।"
নবীন বলে, "যুগযুগান্ত
চলছে তারই চেষ্টা,
বারোটা মাস লড়ে যাব
ভালো থাকে যেন সবটা।
আজকে আমি এলাম
আর নিলাম দায়ভার,
নতুন বছরে আবার যেন
দুঃখ না আসে আর। "

 

 

 

 

বর্ষবরণ......

সামিদা খাতুন

 

১৪/০৪/২২
রঙ তুলিতে আঁকবো ছবি
মনের রঙে হলাম কবি
গাইবো এবার বাংলারই গান।
সোনার ফসল রাশি রাশি
কৃষক এর মুখে হাসি
কাঁটবে সবাই সোনালী ধান।
রঙ বেরঙ এর নানান ঘুরি
আকাশ জুড়ে ওড়াউড়ি
লাটাই হাতে সুতোতে টান।
সাদা শাড়ি তার লাল আঁচল
একতারা আর বাজেরে ঢোল
তালে তালে নাচে রে মন।
একটি বছর গেল চলে
নতুন বছর আসবে বলে
নতুন করে ভাবতে শেখায় মন
আজ বর্ষবরণ আজ বর্ষবরণ।

 

 

 

 

 

সোনার পাখি বৈশাখী 

✍ সাইদুজ্জামান

 

সেদিন  দেখেছিলাম মেলায় সোনার একটি পাখি,

কোমল ছিল তার নাম - শ্রীমতী বৈশাখী। 

নম্র নারীর পরনে হলুদ শাড়ি, মণিবন্ধে চুড়ি,

বুকের ভেতর হানলো  হঠাৎ হাজার পাথৰ-নুড়ি। 




ও পাখি, তোর সাথে এইভাবে সহসা কেন দেখা?

এই বয়সে সহজ তো নয় প্রেমের পত্র লেখা। 




টরন্টো, এপ্রিল ২৪, ২০২২

 

 

 

 

নিঃশব্দ যাত্রা.....

 

ফেরদৌসী বেগম

 

মানুষই শুধু আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। স্মৃতি আঁকড়ে থাকতে চায়। ভিটে চায়। উত্তরাধিকার চায়।
স্হাবর অস্হাবর সব চায়।
অধিকার চায়। স্হিতু আর মায়ায় পোড়া ঘর চায়।
দশটা পাঁচটা অফিস চায়। রোদে পোড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তবুও পুষ্পঘ্রাণে বাঁচতে চায়।
বাকী সব বয়ে যায়-
সময় বয়ে যায়। নদী বয়ে যায়। হাওয়া বয়ে যায়।
দিন যায়। রাত যায়। ঝরা পাতা উড়ে যায়।।
জীবন ফুরিয়ে যায়। কালে মহাকালে
অনন্ত বীথি গ্রহ নক্ষত্র সৌর পরিক্রমায় বয়ে যায়।
হয় না কক্ষচ্যুত কেহ।
এই থাকা আর না থাকা। বয়ে যাওয়া আর না যাওয়া
শুধুই ভাবায় ভাসায় কাঁদায়। আলো আঁধারের পথ বেয়ে।
তবুও মানুষ বাঁচতে চায়। কিন্তু বাঁচে না কেহ।
সময়ের হাত ধরে চলে যায়। ফেলে যায় মায়া। আপন ভুবন। নিঃশব্দ যাত্রা।
মুছে দিয়ে শত বছরের পথ পরিক্রম।

০৬.০৪.১৯৭১

 

 

 

 

ব্যথা যার সেই জানে!

 

গৌতম  সাহা 

 

আজও তাই সে প্রিয়জন
যে মনে মন রাখা যায়
জানি না সে কে কখন
কে যে কার কিভাবে সে চায়?
রাত্রি হলেই জানি
বেঁচে থাকা দায়
জেগে থাকে অন্ধকার
রাত কী কখনও ঘুমায়!
জীবন যাবেই চলে
কেউ কেউ থাকে অপেক্ষায়
ব্যথা যার সেই জানে
ভুলে ভরা সে জীবন ঠিকানা না পায়।
- অধরা কালেকশন্।
২৪.০৪.২২

 

 

 



 

 

 

 

সাতরঙ স্বপ্নে ধোয়া

 

- লীমা জামান শিল্পী

 

সুনীল শাড়ী পরো কপালে বাঁকা টিপ
যুথীমালা কন্ঠে দিয়ে চোখ সাজাও নীল কাজলে
ঘনঘাসে শুয়ে চোখ মেলো আকাশনীলে
মেঘে ভেসে ভেসে ভয়ংকর মোহময়তায় ভীষন আনন্দে
গেয়ে ওঠো প্রিয় কোন গান কিম্বা মোমের আলোয় কবিতা পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পরো।
পবিত্র ঘুম। স্বপ্ন। স্বপ্নে সুখ আনন্দে জীবনের সিঁড়ি পেরোতে পেরোতে সকাল।
বারবার প্রচন্ড হাসিতে পাশে শুয়ে থাকা তোমার নিজস্ব পুরুষটির ঘুম ভাঙিয়েও যদি রাত্রি কাটে ক্ষতি নেই
তবু তুমি তার আগ্রাসী আলিঙ্গনে
অমন করে কেঁদোনা মেয়ে!
যে হৃদয় চেনেনা সে মূর্খ। তাকে ঘৃনা ক'রোনা অভিশাপ দিয়োনা। মিথ্যে অভিমান বেমানান। তুমি নারী।
তোমার মিষ্টি চোখে জল দেখতে ভালোবাসে পুরুষ তাইতো তোমাকে খেলনা পুতুল বানিয়ে ইচ্ছেমত
চাবী দেয় তোমাকে কাঁদায়।
তুমি কেঁদোনা একটুও কেঁদোনা তুমি!
তোমার মেধা ও মানবতার নিঁখুত প্রয়োগে
ভেঙ্গে দাও খেলাঘর।
তুমি অন্তহীন একা গড়ে তোলো
অন্তত একজন পুরুষকে মানব রূপে।
অসীম আগ্রহে ধৈর্যে বোঝাও জীবনের মানে
বোঝাও প্রখর উত্তাপে খন্ডিত হৃদয়ভূমে
যে অঝোর বৃ্ষ্টিধারা, সে নারী। তুমি।
পুরুষকে ভালোবাসায় শিক্ষিত করে তোলো।
অবহেলার বৃন্তে ফোঁটাও সন্মান
ফোঁটাও তোমার সাতরঙ স্বপ্নে ধোয়া
চমৎকার সেই ফুল!

 

 

 

 

 

ছোট বড়

রত্না চক্রবর্তী

২৩.৪.২২
তোমার দুঃখে যখন
কান্নাটা পায়,
আমার বেদনাগুলো
ছোট হয়ে যায়।