টরন্টো, আগস্ট ১৫, ২০২১, নভো সংখ্যা ২৩  
              
হোমপেজ সম্পাদকীয় পাঠক পরিষদের কথা কবিতা ছোট গল্প ধারাবাহিক পাঠাগার আর্কাইভ লেখক পরিচিতি সাহিত্য সংবাদ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল যোগাযোগ আবৃত্তি / কণ্ঠসঙ্গীত

কার্তিকের কুয়াশা

সম্পাদকীয়

 

"মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল মাঝে
আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে...।"
সত্যিই এই বিপুলা ধরিত্রীর কতটুকু জানতে পারি আমরা এক জীবনে! তার থেকেও কম জানতে পৃথিবী বহির্ভূত ব্রহ্মাণ্ড বিষয়ে। কখনও কি ভেবে দেখি আমরা যে এই ব্রহ্মাণ্ডের মাঝে, এই মহাকালের মাঝে কত ক্ষুদ্র আমরা, কত নগণ্য আমাদের অস্তিত্ব? চারিদিকে এত অধিকারবোধের লড়াই, এত হানাহানি; আমার আমিত্ব প্রতিষ্ঠার এত দাম্ভিকতা - এই সমস্তকিছু কতটা আপেক্ষিক আমরা কখনওই ভেবে দেখিনা।
যদি কখনও মহাসংকটের সময় উপস্থিত হয়, তাহলে তা সমগ্র মানবজাতির উপরেই আছড়ে পড়বে। তখন পাশের যে মানুষটির থেকে মুখ ফিরিয়ে রয়েছি, তারই হাতে হাত রেখে প্রস্তুত হতে হবে সকলের অস্তিত্ব রক্ষার্থে। আমিত্বের ফাঁপা বুদ্বুদটাকে যদি একটা আলপিন দিয়ে ফাটিয়ে বহির্বিশ্বে তাকাই, তাহলে সৃষ্টির এই বিশালতাকে অনুভব করা সম্ভব।
মানবজন্মের সার্থকতা কিন্তু অনুভূতি প্রবণতায়। অনুভূতি বোধ এবং তা প্রকাশের ক্ষমতা রয়েছে বলেই অন্যান্য জীবের থেকে মানুষ এত স্বতন্ত্র। অনুভূতিই আমাদের গড়ে, অনুভূতিই আমাদের ভাঙ্গে, অনুভূতিগুলির আদান-প্রদানের মাধ্যমেই আমরা একে অপরের সাথে জুড়ে থাকি, এই পৃথিবীর বুকে বাকি জীবকূলকে আগলে রাখতে সমর্থ হই। কিন্তু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বা শর্তসাপেক্ষে সেই অনুভূতির দরজা জানালা যখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, তখনই মানুষ প্রবেশ করে অন্ধকূপের কালো গহ্বরে।
আমাদের কার্তিকের কুয়াশা পরিবারের প্রতিটি মানুষ, প্রতি লেখক, কবি, শিল্পী সচেষ্ট হয়েছেন তাঁদের সৃষ্টির মাধ্যমে দেশ কালের সীমারেখা পেরিয়ে, অনুভূতিগুলিকে সমগ্র পাঠক এবং শ্রোতাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে তাঁদের মননের গোড়া সজীব রাখতে।
সকলের নিরপেক্ষ ভাবনা, চিন্তা, মননশীলতা এবং স্বচ্ছ ও শুদ্ধ ভাবের আদান প্রদানই আমাদের পাথেয়।

 

মধুবন্তী আইচ
গুজরাট, ভারত