নীলাঞ্জনা সরকার

কলকাতায় জন্ম হলেও বর্তমানে মুম্বাই প্রবাসী। নিজের ব্লগ
aminilanjana.blogspot.com এ নিয়মিত লেখেন এছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকা,
আন্তর্জাল পত্রিকায় গল্প এবং কবিতা লেখার সাথে যুক্ত। মুম্বাইয়ের
'সহচরী' নাচের গ্রুপের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। প্রকাশিত হয়েছে একক
গল্পসমগ্র 'কুহক' এবং যৌথ গল্পসমগ্র 'কল্পনার গল্পকথা'। ছবি আঁকতে
ভালোবাসেন।
রত্না চক্রবর্তী

লেখক রত্না চক্রবর্তী বেহালা রবীন্দ্রনগর বাসী পেশায় প্রাইভেট
শিক্ষক। লেখালেখির অভ্যাস কলেজ জীবন থেকেই। বাইরের জগতে কলেজ
ম্যাগাজিনের পর "বইপোকার কলম " গ্রুপ থেকে লেখার বাইরে প্রচার শুরু।
এছাড়া চলে অসংখ্য লিটিল ম্যাগে লেখালিখি। বর্তমানে বহু সাহিত্য গ্রুপ
আর অডিও চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত। একধারে সমাজজীবন ও মানুষের মনের
বিভিন্ন দিক নিয়ে গল্প পরিবেশন করেন, পাশাপাশি আছে ভূত অদ্ভুত অলৌকিক ও
রহস্যগল্পগুলি। বহু ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয় তার গল্প ঈ কবিতা।
ঝিনুক..একটি আধার পত্রিকার সম্পাদক গত ছয় বছর ধরে।
ঠিকানা-
৭৮৫/৬ মহেন্দ্র ব্যানার্জী রোড
রবীন্দ্রনগর, বেহালা
কোলকাতা-৭০০০৬০
মোঃ-৮৯৮১১৩৩৫৬০
ইমেলঃ-ratna.Chakraborty.55@gmail.com
ড. মোছা. ফেরদৌসী বেগম

ড. মোছা. ফেরদৌসী বেগম বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। জন্মস্হান পাবনা। রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। শিক্ষাজীবনে গোল্ড মেডেলসহ সকল স্তরে
শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে বিভাগে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে
রাজাশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অণুজীববিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন
করেন। ২০১০-২০১১ সালে ইউনিভার্সিটি পুত্রা ইমালয়েশিয়া থেকে
পোস্টডক্টরেট করেন। তার গবেষণার বিষয় অণুজীবিয় এনজাইম, বায়োডিগ্রেডেশন,
মাটি ও পানির অণুজীবিয় গুণাগুণ, খাদ্য ও পানির অণুজীবিয়
নিরাপত্তা,খাদ্য ও পানিবাহিত রোগের জীবানু ও উদ্ভিদ রোগ নিয়ন্ত্রন,
সিঙ্গেল সেল প্রোটিন, খাদ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন। একটি রেফারেন্স বইসহ দেশ
ও আন্তর্জাতিক জার্ণালে তার প্রকাশনা ৫০ এর অধিক। দেশে ও বিদেশে
অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহন ও প্রবন্ধ উপস্হাপন করেছেন।
বহুসংখ্যক গবেষণা প্রকল্প ও এমএস, এমফিল, পিএইচডি গবেষণা তত্বাবধায়ন
করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রোভোস্টসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ
দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি অনলাইনে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
প্রোগ্রামেও অংশগ্রহণ করেন। তার স্বামী প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও
একমাত্র সন্তান মাইশা ফারজানা রিয়া। তার শখ বিজ্ঞান ও সাহিত্য বিষয়ক
বইপত্র পাঠ করা, ভ্রমন করা, লেখালেখি ও গানশুনা। শখের বশে কবিতা লেখা
যা এখন নেশা। ইতিমধ্যে তার কবিতা বেশ কয়কটি সাহিত্য বিষয়ক অনলাইন পেজে
সেরা সম্মাননা লাভ করেছে।
মোঃ মহিবুল ইসলাম

পরিচিতি: আমি একজন নিভৃতচারী মানুষ। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর
উপজেলার দেবীপুর গ্রামে ১৯৬৯-এ জন্ম। রাজনীতি বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর
শেষে বাংলাদেশের সরকারি মালিকানাধীন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি।
বর্তমানে সিলেটের আঞ্চলিক প্রধান।
নূর-ই- হাফিজা খানাম (আক্ষিপ্তিকা নির্মাল্য)

আমি নূর-ই- হাফিজা খানাম,
জন্ম ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলার গোয়াল পাড়া
মহল্লায়। পিতা মোঃ হারুন-অর- রশিদ খান, সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাংলাদেশের
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মাতা মনোয়ারা বেগম একজন গৃহিণী। ২০১৯
সালে একুশে গ্রন্থমেলায় "চেতনা "নামে আমার একক একটি কাব্যগ্রন্থ
প্রকাশিত হয়। বর্তমানে স্থানীয় পত্রিকায় অল্প বিস্তর লেখালেখি করি।
কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ বিষয়গুলো নিয়ে লেখালেখির চেষ্টা করছি। উল্লেখ্য
যে অনলাইনে লেখালেখি শুরুর প্রথম পর্যায়ে "আক্ষিপ্তিকা
নির্মাল্য " ছদ্ম নাম নিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম।
নীলাঞ্জনা শেলী

আমি নীলাঞ্জনা শেলী।পুরো নাম সেলিনা আক্তার শাহ শেলী।পৈত্রিক
নিবাস বাংলাদেশের রাজশাহী জেলায়।শৈশব কৈশর কেটেছে রাজশাহীতে।পরবর্তীতে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও সম্মান শেষ করেছি।
বইয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। বাংলা সাহিত্য, বাংলা কবিতা,
প্রবন্ধ ও অনুবাদ সাহিত্য প্রচুর পড়াশুনা করা। এক কথায় বইয়ের পোকা
যায়!! প্রকৃতির টানে প্রায়ই ঘুরা ঘুরি করা হয়।
অতুল প্রসাদের ভাষায় বলা যায়-
যাবো না, যাবো না, যাবো না ঘরে!
পাগল করেছে বাহিরও মোরে।
আরশাদ ইমতিয়াজ

জন্মঃ জানুয়ারি 2, 1976, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার
শিমুলপাড়া গ্রামে। পিতা জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও মাতা মৃতঃ আলেয়া
বেগমের ছায়ায় বেড়ে ওঠা।শিক্ষাঃ বোনারপাড়া কাজী আজাহার আলী সরকারি
মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। তারপর গাইবান্ধার বোনারপাড়া সরকারি
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এস. এস. পাশ। অবিবাহিত।
জয়া চক্রবর্তী সোমা

কলেজ জীবন থেকেই লেখালিখির শুরু। প্রথম লেখা প্রকাশ শুকতারার
পাতায়। পরে অজস্র লিটিল ম্যাগের পাশাপাশি বানিজ্যিক পত্রিকা প্রসাদেও
প্রকাশিত হয় লেখা। পরিচালক বর্ষালী চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে জয়া
চক্রবর্তী সোমার লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরী হয়েছে হিন্দি ছবি "the
darling wife"
৭৮৫/৬ মহেন্দ্র ব্যানার্জি রোড
রবীন্দ্রনগর, বেহালা
কোলকাতা-৭০০০৬০
মোঃ-৮০০১১৭১১১৭
সঞ্জয় কুমার মন্ডল

আমি সঞ্জয় কুমার মন্ডল। সরকারি ব্রজলাল কলেজ,খুলনার অর্থনীতি
বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বর্তমানে বি. এল. কলেজ আবৃ্ত্তি সংগঠন
"বায়ান্ন"র সহ-প্রচার সম্পাদক এবং সমাজসেবামূলক সংগঠন "আলোর পথযাত্রী
সংগঠন" এর সাহিত্য ও গ্রন্থাগার বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছি।
লেখালেখি এবং আবৃত্তি করতে ভালো লাগে।
ফিরোজা হারুন
জন্মঃ জানুয়ারি ১, ১৯৪৪, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার হরিরামপুর
গ্রামে। স্নেহময় পিতা জনাব আব্দুস সোবহান বিশ্বাস ও মাতা জুবাইদা
খাতুনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা।শিক্ষাঃ ময়মনসিংহ বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়। তারপর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কলেজ হতে বি.এ. পাশ করে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতিহাসে এম. এ. সমাপ্ত করে ময়মনসিংহ টিচার্স
ট্রেনিং কলেজ ফর উইমেন থেকে বি. এড. ডিগ্রী অর্জন এবং ঢাকায় আদমজী
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে যোগদান। এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের
জননী ফিরোজা হারুনের সাহিত্য অঙ্গনের অগ্রযাত্রার মূলে প্রেরণা
যুগিয়েছে তাঁর স্বামী ডাঃ মোহাম্মদ হারুন। তাঁর প্রথম উপন্যাস
'জীবনেরে কে রাখিতে পারে' সাপ্তাহিক রোববারে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশের
পর ১৯৯৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। আর আন্তর্জালে প্রকাশ
পেয়েছে ২০০৮ সালে। দ্বিতীয় প্রকাশিত উপন্যাস ২০০০ সালে 'সুখের
লাগিয়া'। ২০০৮ এ প্রকাশিত হয়েছে আরো ছয়টি গ্রন্থ। কিশোর সংকলন
-মেঘরাজা রোদরাজা, কাব্য সংকলন-নিশি লোর, উপন্যাস-প্রতীক্ষা, তিন
পুরুষের গল্প, স্মৃতির দুয়ারে এবং গল্প ও প্রবন্ধ সংকলন-ছিন্ন বীণার
তার। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি সমাজকল্যাণ মূলক কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁর মায়ের স্মৃতিস্মরণে একটি প্রাইমারি স্কুল তাঁরই
নিজ গ্রামে।
মধুবন্তী আইচ

জন্ম ২৯ মে, কোলকাতায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক সাহিত্যে
ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমান নিবাস গুজরাটের ভাদোদরা শহরে।
অরুণোদয় কুণ্ডু

নাম অরুণোদয়। ধাম হাওড়া , পশ্চিমবঙ্গ , ভারতবর্ষ আর কাম
প্রযুক্তিবিদ্যার শিক্ষকতা । এখন প্রশ্ন আসে সাহিত্যে আমার কাম কি? কাম
নেই আছে ভালবাসা , ছোটবেলা থেকে। জীবনটা নদীর মত বয়ে যায়, তার
কর্মমুখর পথের দুধারে অববাহিকার শস্য শ্যামল সাহিত্য তার সবুজ রঙ্গিন
হাত দিয়ে জড়িয়ে রয়েছে আমার হৃদয়। সেই সবুজের পূজা ই আমার সাহিত্য
। কখনো তা ভোরের গৈরিক রঙে ত্যাগ মন্ত্রে দীক্ষা ; কখনো বিকেলের কনে
দেখা রোদে ঘরে ফেরার গান । কখনো প্রতিজ্ঞা ,কখনো হাসি কখনোবা অভিমান
।কখনোবা তা বীরমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে মানবাত্মার কল্যানের খোঁজে ফেরার ।
এসব নিয়েই আমার সাথে সাহিত্যের জমজমাট প্রেম । তার সাক্ষাতকারের
সাক্ষী হতে বারন নেই কারোর। তাইতো সে আজ “কার্তিকের কুয়াশা” এর দরবারে
, একমুঠো দমকা হাওয়ার ভালবাসা নিয়ে।
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বের অন্যতম প্রধান দুই বিশ্ববিফ্যালয়
Moscow State Automobile & Road Technical University এবং Moscow Power
Engineering Institute থেকে আন্ডারগ্র্যাড এবং মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন
করে জন্মভূমি বাংলাদেশে Human Development Research Center (HDRC) এ
সিনিয়র কন্সাল্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করছেন। লেখালেখির জগতেও রাজ্জাক দেশে
বিদেশে অসংখ্য পাঠকের মন জয় করেছেন।
সুস্মিতা বিশ্বাস
পশ্চিমবঙ্গ নিবাসী হলেও বর্তমানে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। কবিতা পাঠ,
লেখালিখি, নাচ ও ছবি আঁকতে ভালোবাসেন। ‘সুস্মিতার অবসর' নামক ফেসবুক
পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে কবিতাপাঠ করে থাকেন। যৌথ গল্পসমগ্র ‘কল্পনার
গল্পকথা’ প্রকাশিত হয়েছে।
এ কে এম সাইদুজ্জামান

জন্ম ১২ই আগস্ট বাংলাদেশে। শিক্ষা সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং কানাডায়। সোভিয়েত
ইউনিয়নের আজেরবাইজান সিভিল এঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম সিভিল
এঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রি, আজেরবাইজান তৈল ও রসায়ন ইনস্টিটিউট থেকে তাপ
এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জল শোধনের উপর গবেষণার জন্য রুশ
ফেডারেশন প্রদত্ত পি এইচ ডি ডিগ্রি,কানাডার কনকোর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে প্রথমে এনভায়রনমেন্টাল এঞ্জিনিয়ারিংএ গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট এবং
সব শেষে সিভিল এঞ্জিনিয়ারিংএ পি এইচ ডি। বিদ্যালয়ে বিচরণ ঢের হয়েছে
বিধায় এরপর থেকে বিদ্যালয় থেকে দূরে থেকেছি। বর্তমানে কানাডার অন্টারিও
প্রভিন্সে অনুমতিপ্রাপ্ত লাইসেন্সধারী প্রকৌশলী।
Diogenes the Cynic এর মতো ভাবতে ভালবাসি, "আমি এই পৃথিবীর নাগরিক ।"
অবাস্তব ভাবনা বৈকি! যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডার বিভিন্ন শহরে, এক
বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষকতা এবং সিভল এঞ্জিনিয়ারিং পেশায় আমি
সর্বদাই সাময়িক এক কর্মজীবী। সর্বদা সাময়িক আর চিরস্থায়ী বস্তুত একই
বস্তু বলে বোধ করি । জীবিকা অর্জনের তাগিদে সিভল এঞ্জিনিয়ারিংয়ের
নিরস কর্মকান্ড আমার জীবনে এক স্থায়িত্ব দখল করে ফেলেছে। সেই যৌবন
থেকে ভেবেছি মিস্তিরিগিরি সাময়িক দুএকটি বছর করে পাকাপোক্ত ভাবে
সাহিত্য জগতে ঢুকে পড়ব - বাস্তব তা হতে দেয়নি । আর সামান্য একটু বেশি
সাহস থাকলে ভদ্র গোছের একজন লেখক হতে পারতাম হয়তো । ১৯৭৯ সালে প্রথম
লিখেছি, ১৯৮০-১৯৮১ তে একালের নামকরা লেখকদের সাথে সেকালে সাহিত্যের
দারুন আড্ডা দিয়েছি - এই স্মৃতিটুকু সম্বল করেই এই বুড়ো বয়সে
সাহিত্যের পথে আমার এই বিলম্বিত যাত্রার শুরু । আমার সাহিত্য রচনা
যাঁরা পছন্দ করেছেন, কাকতালীয়ভাবেই তাঁদের অনেকেই জীবনের কোনো এক সময়
নিদারুন মস্তিস্ক বিকৃতির প্রমান রেখেছেন, আর এ ব্যাপারটাও ফলত আমাকে
বেশ নিরুত্সাহিত করেছে । গোটা দুয়েক বই, ডজন খানেক রচনা আমার ছাপা
হয়েছে - তবে তা সাহিত্যের নয়, বাংলা ভাষায়ও নয় । ইংরেজি এবং রুশ
ভাষায় লেখা ওই রচনাগুলো । গোটা চারেক ছোট গল্প বাংলায় লিখিয়ে
নিয়েছে আমার বন্ধুরা, তা ছাপানোর ব্যবস্থাও তাঁরাই করেছেন । পাঠকদের
কেউ কেউ আবেগে মন্তব্য করেছেন সব কটি লেখাই নাকি শ্রেষ্ঠ । এরকম
মন্তব্য আমাকে নিরুত্সাহিতই করেছে এতকাল । যদি সত্যিই আমার লেখাগুলো
ভালো হয়ে থাকে তবে হয়তো পঞ্চম লেখাটি আর সেরকম ভালো হবে না ।
১ । কেন লিখি? পাঠকের অনুরোধের ঢেকি গিলি।
২ । আমার প্রিয় লেখক - বাংলা সাহিত্যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রচনা
"কাগজের বউ"; ইংরেজি সাহিত্যে ফিলিপ রথ, রচনা "দ্য ডায়িং এনিম্যাল";
রুশ সাহিত্যে ইভান বুনিন, রচনা "ভালোবাসার ব্যাকরণ (грамматика любви)"
। আমি নিজে খুবই খারাপ ধরনের পাঠক - কোনো রচনার বিষয়, কাঠামো, কৌশল,
শব্দ নির্বাচন আমার মনে না ধরলে পড়তে ইচ্ছে করে না তা সে যত বড়
লেখকের রচনাই হোক না কেন।
৩ । ইন্টারনেট বাংলা সাহিত্যকে অবশ্যই উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেবে বলেই
আমি বিশ্বাস করি । পাঠকের বিবেচনা শক্তি বাড়বে, ভালো লেখার
ক্ষুধা-তেষ্টা বাড়বে - সৃষ্টি বাড়তে বাধ্য যখন তার প্রয়োজন তীব্র
হতে থাকে ।
8 । বাংলা সাহিত্যের অতীত এবং ভবিষ্যত দু'কালই মারাত্মক উজ্জ্বল।
বর্তমান কালটাই শুধু একটু বেশি সময় নিচ্ছে ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নিতে।
৫। যে লেখক ভালো লিখতে পারেন তিনি বাধ্য লিখতে। না লিখলে তার শাস্তি
হওয়া উচিত, হয়ও বটে। যে লেখক ভালো লিখতে পারেন না, তার উচিত লেখার
লোভ সামলানো । বাংলা সাহিত্যে অধুনা নামকরা অনেক লেখকের স্থানে আমি
থাকলে লেখালেখি স্থায়ী ভাবে বাদ দিয়ে দিতাম । বড় পাপ হয় যা তা লিখে
পাঠকের হাতে দিলে, বড় পাপ হয় সাহিত্য, বিজ্ঞান বা প্রকৌশলকে শুধুই
ব্যবসায় পরিণত করলে ।
৬ । বর্তমান প্রজন্মের কাছে আমার প্রত্যাশা? বর্তমান প্রজন্মকে আরও
একটু স্থির, আরো একটু বিবেচক, আরো একটু প্রশিক্ষিত দেখতে পেলে ভালো
লাগতো ।
৭ । একদিন লেখক হবার স্বপ্ন দেখেছিলাম - হতে পারিনি । অন্য অনেক কিছু
লিখে লিখে জীবন কেটে গেলো, সাহিত্যের লেখা হলো না - হবে না - হয়তো
যোগ্য নই ।