টরন্টো, জুন ১০, ২০২১, নভো সংখ্যা ২১  
              
হোমপেজ সম্পাদকীয় পাঠক পরিষদের কথা কবিতা ছোট গল্প ধারাবাহিক পাঠাগার আর্কাইভ লেখক পরিচিতি সাহিত্য সংবাদ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল যোগাযোগ আবৃত্তি / কণ্ঠসঙ্গীত

কার্তিকের কুয়াশা

কবিতার পাতা

 

বিদ্রোহীর চরণতলে


-
অরুণোদয় কুন্ডু 

রাত আকাশের ধ্রুবতারা টাও
হার মানে লুব্ধকে,
সন্ধানী চোখ কালপুরুষে
ঠিক খুঁজে নেয় তাকে।
বাংলা গানের আসমানী তারা
তেমনি তোমার মাঝে,
সকল ধারার সুরের স্রোতে
সিন্ধু লহরী বাজে।
তোমার সাথেই বাংলা ভাষায়
গজলের পথচলা;
কাজীর লেখা কৃষ্ণ গানেই
রাধার হিয়া উতলা।
বিষের বাঁশি র বিদ্রোহী সুরে
রক্তে আগুন জ্বলে,
শ্যামাসংগীত ভক্তি রসে
দুই আঁখি ভরে জলে।
এমনি করেই গুল বাগিচায়
অগ্নিবীণা র সুরে,
সাম্যের গানে গেঁথেছ মালা
বিভেদ সরিয়ে দূরে।
কুলিমজুরের রক্তে লেখা
সর্বহারার ঘামে,
বাবুসাহেবের গদিটা আজও
কাঁপছে তোমার নামে।
অবহেলার অলঙ্কারই যে
মানায় তোমায় ভাল,
বিস্মৃতির অতলে তাই
চর্চা যে ফুরালো।
তবুও তোমার বজ্র আশিষ
দিও বিদ্রোহী বীর,
দুস্তর পারাবারে যেন থাকি
চির উন্নত শির।



ভালোবাসা
- তাপস কুমার দাস

আবার
সেই আদর-
সেই আবেগ-
সেই স্পর্শ-
সেই সব কিছু ।
আমি বেশ-
বুঝতে পারবো,
অনুভব করবো,
জানবো,
দেখবো,
তবুও কিছুই বলবো না,
তুমি পুরুষ থেকে পাগল,
বেসামাল ধর্ষক, হয়ে উঠবে,
তোমার সমস্ত শরীর থেকে-
ঠিকরে বের হবে উদগ্র কামুকতা ।
আমি অনুচ্চারিত শব্দে -
চিৎকার করবো ।
নিষ্ফল হাত -পা ছুঁড়বো,
শেষ পর্যন্ত্য-
পোষ্য সারমেয়র মতো-
ভালোবাসতে বাধ্য হবো ।

 

 

হিসাব
-রত্না চক্রবর্তী

১৯.৫.২১
একজীবনে অনেকটা সুখ
দিয়ে গেছে জানি ফাঁকি,
একজীবনে অনেক কথা
রয়ে গেল বলা বাকী।
একজীবনে অনেক হিসাব
মেলানো গেল না আর,
কিছু জিজ্ঞাসা অপূর্ণই থাকে
জবাব মেলে নি যার।
না পাওয়া সব তালিকা করে
নোটবইয়ে রাখি টুকে,
পাওয়াগুলোর হিসাবকিতাব
চাপা পড়ে গেছে বুকে।।

 

 

 

একাভোগা গ্লাস
-সাইদুজ্জামান

নিঃসঙ্গ শহরে দুঃখ এসে প্রবল দিলে ঢেউ,
কাঁধে হাত রাখবে, উষ্ণ আলিঙ্গন দেবে কেউ?

মাঝেমধ্যে আমারও প্রয়োজন পড়ে অন্তত নেশার ঘোরে,
গ্লাসের আমন্ত্রণে আরেকটি গ্লাস টোকা দিক জোরে।
ভালোবাসার কথা বলুক, আনন্দ হোক সারারাত, মঙ্গলময় খুব ভোরে,
দুজন ফিরে যাবো সভ্য লোকালয়ে, ফিরে যাবো কুহনার জনপ্রিয় দোরে।
সাধু ভাষায় বক্তৃতা দেব যেন সাধু, যেন দেবী ও দেবতা,
আমাদের কোনো ভুলচুক নেই, পাপ নেই, তুলসীর পাতা।

নিঃসঙ্গ শহরে স্বেচ্ছাচারী গ্লাস রাতবিরাতে,
যখন তখন উঠে আসে আমার কাঁপা হাতে।