টরন্টো, জুন ১০, ২০২১, নভো সংখ্যা ২  
              
হোমপেজ সম্পাদকীয় পাঠক পরিষদের কথা কবিতা ছোট গল্প ধারাবাহিক পাঠাগার আর্কাইভ লেখক পরিচিতি সাহিত্য সংবাদ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল যোগাযোগ আবৃত্তি / কণ্ঠসঙ্গীত

কার্তিকের কুয়াশা

সম্পাদকীয়

 

"তবে তার পরে ভাই বেছে বেছে যত পার
বই পড়ে ফেলা চাই।
তখন বন্ধ টিভি, বই পড়ি সব্বাই।
শুধু কি পাঠ্য বই?
আরে না না তা তো নয়,
আরও শত শত বই রয়েছে বিশ্বময়। "
( ' বই পড় ' - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী)

উপরোক্ত কয়েকটি পংক্তি পড়তে পড়তে মনে সংশয় জাগে যে বর্তমানের প্রযুক্তিনির্ভর যুগে দোকানে গিয়ে বাছাই করে বই কেনে বা বই হাতে নিয়ে পড়ে কতজন মানুষ? আধুনিক প্রজন্ম - যাদেরকে আমরা millennials বলে থাকি, তারা তো প্রায় ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন যন্ত্রনির্ভর হয়েই বড় হয়ে ওঠে। অক্ষর জ্ঞান হওয়ার আগেই তারা শিখে যায় মুঠোফোন বা ল্যাপটপের কৌশল। বইয়ের পাতা উল্টে নিজের কল্পনাকে প্রসারিত করার আগেই তারা জেনে যায় কিভাবে একটি যন্ত্রকে হুকুম করলেই শুরু হয়ে যাবে গল্পপাঠ বা একটি গান কিংবা তাদের পছন্দের কোনো অনুষ্ঠান। তারা জানেনা বইয়ের মতন বন্ধু হয়না, তাই আন্তর্জালে বন্ধুবিচ্ছেদ ঘটলে তারা হয়ে পরে হতাশাগ্রস্ত; অথবা তারা জানেনা কিভাবে ভালো বই হয়ে উঠতে পারে সারাজীবনের একাকীত্বের সঙ্গী। এখনকার প্রজন্মের কতজন উপলব্ধি করতে পারে যে একটি বই একটি বিপ্লবের জন্ম দিতে পারে? কতজন অনুভব করতে পারে যে কোনো এক বিশেষ মানুষের থেকে পাওয়া কোনো একটি বিশেষ বই থেকে যায় সারাজীবনের মহামূল্যবান রত্ন হয়ে! এই অতিমারীকালে সিলেবাসের পাঠ্য বই কিংবা খবরের কাগজও হয়ে গিয়েছে প্রায় ইতিহাস কারণ এখনকার মানুষ পৃথিবীকে জানে আন্তর্জালের মাধ্যমেই যা তাদের কাছে সবথেকে বেশী বিশ্বাসযোগ্য। এই প্রজন্মের কাছে আজ মাতৃভাষাটাই হয়ে উঠেছে গৌণ - তারা কি বোঝে রক্তাক্ত একুশে'র বলিদান? তাই হয়তো আজ বাংলাভাষার আকাশে ধ্রুবতারার এত অভাব!

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করেও আমরা কিছু মানুষ এই ' কার্তিকের কুয়াশা ' পরিবারে একসাথে থেকে চেষ্টা করে চলেছি বাংলাভাষায় কিছু ভালো কাজ আমাদের পাঠককূলের কাছে নিরন্তর পৌঁছে দেওয়ার।

 

কার্তিকের কুয়াশার এবারের সংখ্যাকে যাঁরা নিজ লেখনী এবং শিল্পীসত্ত্বা দিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন, তাঁরা হলেন - কবিতায় অরুণোদয় কুন্ডু, তাপস কুমার দাস, রত্না চক্রবর্তী এবং সাইদুজ্জামান। ছোটগল্পে - অভিষেক মণ্ডল, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক এবং রত্না চক্রবর্তী। ধারাবাহিক লেখা বিভাগে সাইদুজ্জামান এবং ফিরোজা হারুন। সাহিত্য সংবাদ বিভাগে পাঠ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অরুণোদয় কুন্ডু। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিভাগে লিখেছেন এ কে এম সাইদুজ্জামান। কবি সুবোধ সরকারের কবিতা আবৃত্তিতে মধুবন্তী আইচ।

 

 

মধুবন্তী আইচ
ভাদোদরা, গুজরাট