পৃথিবী তার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ পূর্ণ করলো আরও একবার, অতিবাহিত হলো আরও
তিন'শ পঁয়ষট্টি টি দিন। বিগত প্রায় দুই বছর অতিমারীর এক অশুভ ছায়া
যেন ঢেকে রেখেছে পৃথিবীর সেই কক্ষপথ এবং তার প্রভাব এসে পড়েছে
পৃথিবীবাসীর প্রত্যহ জীবনযাপনের উপরেও। বিগত কয়েক শতাব্দীকালীন
জীবনধারায় ঘটে গিয়েছে যেন সম্পূর্ণ এক উলোটপুরাণ। তবে জীবন তো থেমে
থাকেনা। তাই নতুন পরিস্থিতি বা পরিবর্তিত পারিপার্শ্বিকের মধ্যে আমাদের
খুঁজে নিতে হবে সেই সব দিক যা আমাদের আগামী দিনের অনুপ্রেরণা হিসেবে
কাজ করবে। এই সংকটময় কালে মানুষ কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছে একে অপরের
মূল্য! সাহায্যের হাত, সৌহার্দ্যের হাত একটু বেশীই হয়তো বাড়িয়ে
দিচ্ছে আজ একে অপরের দিকে। একে অপরের বিরুদ্ধে গিয়ে নয় বরং একজোট
হয়ে কোনো প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার ধারণা কিছুটা হলেও রোপিত
হয়েছে আজ আমাদের অন্তরে! মানুষ মানুষের জন্যে --- এই কথা ক'টির
প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তাদের কৃষ্টিকল্পে বা সাহিত্য সৃষ্টিতেও।
কার্তিকের কুয়াশাও তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও আমাদের গ্রুপের পথ চলা
শুরু হয়েছিল আতিমারীকালের অনেক আগেই তবুও এই পরিবর্তিত পরিবেশ যেন
আমাদের সবাইকে দেশ বা ভিন্ন ভিন্ন সময়ের সীমা অতিক্রম করিয়ে একে
অপরের কাছাকাছি এনে দিয়েছে এবং এই গ্রুপের বিভিন্ন কার্যকলাপ তার
সাক্ষী। গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে বন্ধনের এই দৃঢ়তাই হোক আগামীতে আমাদের
পাথেয়।
কার্তিকের কুয়াশার জানুয়ারি সংখ্যায় রয়েছে ফেরদৌসী বেগম, নীলাঞ্জনা
সরকার, সমিদা খাতুন, সাইদুজ্জামান, অরুণোদয় কুন্ডু, মধুবন্তী আইচ,
নুসরত জাহান রুবাইয়ার লেখা কবিতাগুচ্ছ, রত্না চক্রবর্তী এবং নীলাঞ্জনা
সরকারের ছোটোগল্প। অরুণোদয় কুন্ডুর লেখা পাঠপ্রতিক্রিয়া এবং মধুবন্তী
আইচের ভ্রমণগাথা। নীলাঞ্জনা সরকারের কবিতাপাঠ।
কার্তিকের কুয়াশার প্রতিটি সংখ্যা এইভাবেই ধনসম্পদে সম্মৃদ্ধ হয়ে
উঠুক। আগামী দিনগুলি সকলের ভালো কাটুক, সুস্থতার মধ্যে কাটুক।
ধন্যবাদ।
মধুবন্তী আইচ
গুজরাট, ভারতবর্ষ