নির্মলেন্দু গুনঃ বিস্ময়কর প্রতিভা
সাগর জামান
নির্মেলেন্দু গুণ ষাটের দশকের অগ্নি ঝলসিত কবি। তার কবিতা দ্রোহের আগুনে
দ্যুতিময়। নির্মললেন্দু গুণের কবিতার মূখ্য গুণ জ্বলে ওঠা প্রতিবাদে
প্রকম্পিত করে দেয়া। তার কবিতা সোচ্চার ধর্মীয়। তার চৈতন্যের প্রবাহে অবনত
হয় সমস্ত অশুভতা।
মুক্তি যুদ্ধ আমাদের গৌরবের শ্রেষ্ঠ প্রেক্ষাপট। মুক্তিযুদ্ধের নানা
ঐতিহাসিক ঘটনাবলী তিনি কবিতায় লিপিবদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকে মুল
প্রতিপাদ্য করে নির্মলেন্দু গুন অসংখ্য কবিতার মাধ্যমে মানুষকে সংগঠিত
করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছেন প্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি তার
দায়িত্ব বোধের জায়গায় অনড় থেকে তার সৃষ্টি কর্মের ধাক্রমে নিজেকে
প্রতিভাসিত করেছেন। ষাটের দশকের নানা অনুষঙ্গকে তিনি তার কাব্য প্ররণতায়
ধাবণ করেছেন। বিভিন্নভাবে। দুর্বার উচ্চারণের মধ্য দিয়ে তিনি আবেগময়
অভিব্যক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের নানা ছবি নির্মলেন্দু গুনের
কবিতায় নিপুনভাবে ফুটে ওঠে।
নির্মলেন্দু গুনের কবিতায় বিষয় আশয়ের নানা মাত্রিক বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা
যায়। স্বদেশ চেতনা, মুক্তিযুদ্ধ, নিসর্গের নিবিড়তা, প্রেম, দ্রোহ প্রভৃতি
বিষয়কে তিনি তার কবিতায় প্রয়োগ করেন তার মনোজগতে নিহিত নানা অনুভুতি
অবধারিত ভাবে এ সব বিষয় আশয়ের হাত ধরে তার কবিতার গহিনে প্রবেশ করে।
নিরীক্ষায় প্রবণতা তার কাব্য বিকাশকে চলমান করে। তিনি নতুন ভিন্নতাকে তিনি
রচনা শৈলীরভীন্নতায় আলাদা, নবতর অবয়ব কবিতায় স্থাপন করেন নির্মলেন্দু গুন
আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্যের কথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য নিরন্তর
নিবেদিত তার কবিতায় নানা আন্দোলন সংগ্রামের ঘটনাবলী চিত্রিত হয়।
নির্মলেন্দু গুনের কবিতা মিছিল প্রতিবাদ প্রতিবোধ ও শ্লোগানের বানীতে
মুখরিত। অন্যায় শোষন নিপীড়নের বিরুদ্ধে তার অবস্থান স্পষ্ট তার কন্ঠ
উচ্চকিত। তার উচ্চারণ সংক্ষুদ্ধ।
আগুন লেগেছে রক্তে মাটির গ্লোবে
যুবক গ্রীস্ম ফালগুন পলাতক
পলিমাখা চাঁদ মিছিলে চন্দ্রহার।
উদ্ধত পথে উন্নত হাত ডাকে
সুর্য ভেদে অশ্লীল কারাগার
প্রতীক সূর্যে ব্যাকুল অগ্নি জ্বলে
সাম্যবাদের গর্বিত কোলাহলে।
নির্মলেন্দু গুণ মানবতাবাদী এবং যুদ্ধবাজ কবি হিসেবে খ্যাতিমান তিনি মানব
মর্যদাকে সবসময় উন্নত রেখেছেন। মানব কল্যাণের জন্য তার সৃষ্টি কুশলাতা
প্রসারিত রেখেছেন উন্মুক্ত করেছে। মানুষ মানুষের মর্যাদা হরণকারী এই সত্যের
চেহারা তিনি বদলে দিতে প্রয়াসী থেকেছেন্ ব্যক্তিগত স্বার্থের
উর্ধ্বে থেকে তিনি গণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সক্রিয় থেকেছেন। অধিকার
বিপন্ন হতে দেখে তার কবিতা তুমুল প্রতিবাদে শ্লোগান মুখর হয়ে ওঠে।
সমাজতান্ত্রিক ভাবনা তার কবিতায় নানাভাবে উঠে আসে। তার চেতনার সাথে যুক্ত
হয় সমাজতন্ত্র স্বদেশের অখন্ড প্রবনতা। আমাদের ঐতিহ্য তাকে সাহসী করে।
ঐতিহ্যিক চেতনা তার শক্তিময় করে। আদর্শিক পিতার নির্মম মৃত্যু দেখে যখন
বাংলাদেশ নির্বাক হয়ে গিয়েছিল। বাঙ্গালী প্রতিবাদী কন্ঠ মুক হয়ে ছিল। তখন
গুনের কবিতা প্রতিবাদ আবেগ। আর শোকের মিশ্ররুপে ফেটে পড়েছিল। সেই রাত্রির
কল্প কাহিনী শির্ষক কবিতার উদ্বৃতি দেয়া যেতে পারে।
তোমার ছেলেরা মরে গেছে প্রতিরোধের প্রথম পর্যায়ে
তারপর গেছে তোমার পুত্র বধুদের হাতের মেহেদী রঙ
তারপর তোমার জন্ম সহদর ভাই শেখ নাসের
তারপর গেছেন তোমার প্রিয়তমা বাল্যবিবাহিতা পতœী
আমাদের নির্যাতিতা মা।
এরই ফাকে এক সময়
ঝরে গেছে তোমার বাড়ীর সেই
গরবিনী কাজের মেয়েটি, বকুল।
এরই ফাকে একসময়
প্রতিবাদে দেয়াল থেকে খসে পড়েছে
রবীন্দ্রনাথের দরবেশ মার্কা ছবি।
এরই ফাকে এক সময়
সংবিধানের পাতা থেকে মুছে গেছে
দু’টি স্তম্ভধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র।
নির্মলেন্দু গুনের কবিতা বাংলাদেশের ইতিহাসের সত্যবদ্ধ দলিল হিসাবে বিবেচিত
হতে দেখা যায়। তার কবিতায় ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহ, নানা ধরনের রাজনৈতিক
টানাপোড়েন, সংকট উত্তরণের উচ্ছাস এসব চিত্রের পাশাপাশি একটা অপার জীবন
মুক্ত জীবন বোধ তার কবিতাকে আচ্ছন্ন করে। তিনি মুক্ত জিবন সন্ধানী হতে
ব্রতি হন। ষাটের দশকের দোর্দান্ড উম্মদনা স্বাধীনতা
উত্তর বিভিন্ন কালখন্ডের নির্মমতা এবং গৌরব গাথা বিবরণ তিনি কবিতাবদ্ধ
করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার সেই কালো রাতের পটভ‚মির অবতারণা তিনি করেছেন
বর্বরোচিত নির্মম ও নিন্দিত এ ঘটনা যেমন তার কবিতায় এসেছে। তেমনি আমাদের
মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় অর্জন তিনি তার কবিতায় তুলে ধরেছেন। তিনি অসহায়
মেহনতি, দরিদ্র মানুষের কথা বলেছেন। নির্মলেন্দু গুনের অতিমানবীয় গুনাবলী
তার বয়নশেলীর মাধ্যমে কবিতায় প্রযুক্ত হয়েছে।
নেকাব্বর জানে তার সম্পত্তির হিসাব চাইতে আসবে না কেউ কোনদিন। এই জন্মে
শুধু একবার চেয়েছিল একজন কী কইরা পালবা আমারে, তোমার কি আছে কিছু তেনা ?
সন্ধ্যায় নদীর ঘাটে ফাতেমাকে জড়িয়ে দু’হাতে বুকে পিষে নেকাব্বর বলেছিল: আছে
আছে লোহার চাক্কার মতো। দুই আত, গতরে আত্তীর বল ঃ- আর কিডা চাষ মাগী।
তুমি বুঝি খাবা কলা গাছ?
আজ এই গোধলী বেলায় প্রচন্ড ক্ষুধার জ্বালা চোখে নিয়ে নেকাব্বর সহসা তাকালো
ফিরে সেই কলা বাগানের গাড় অন্ধকারে তিরিশ বছর পরে আজ বুঝি সত্য হলো ফাতেমার
মিষ্টি উপহাস। নির্মলেন্দু গুন শ্রমজীবী মানুষের অর্থাভাব অসহায়ত্ব তাদের
মধ্যে জাগরুক প্রেমের অনুভ‚তির আনন্দ বিষাদের কথকতা কবিতায় অন্তর্ভুক্ত
করেন। দরিদ্রতার যাতাকলে বিপর্যস্ত মানুষের আবেদ তিনি কবিতায় তুলে ধরেন।
নির্মলেন্দু গুন শুদ্ধ কবিতার শ্রষ্টা হিসাবে সমধিক খ্যাতিমান। ষাটের দশকে
তিনি কবিতার একটি নতুন ধারার দ্বার উম্মুক্ত করেন। তার বয়নশৈলী, বর্ণনার
কাব্যিকতা তার কবিতায় নতুন মাত্রা সংযোজন করেছেন।
স্কুলের ছাত্রাবস্থায় কবিতার সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে পরবর্তী সময়ে কবিতার
সাথে তার নিবিড় ঘর গেরস্থালী সুচিত হয়। খালেকদাদ চৌধুরী সম্পাদিত উত্তর
আকাশ পত্রিকায় নির্মলেন্দু গুনের প্রথম কবিতা প্রাকাশিত হয়। প্রথম কবিতার
উজ্জলতা পাঠকদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। তারপর থেকে নির্মলেন্দু গুনের অবাধ
যাত্রা। কবিতাকে আরাধ্য করে নির্মলেন্দু গুন তার যাত্রা পথকে উদ্ভাসিত
করেছেন। নেত্রকোনা কলেজ বার্ষিকী ময়ুখ এ তার বেশ কিছু কবিতা সমালোচকদের
আলোচনার বিষয়ে হয়ে ওঠে। ১৯৬২ তে নুতন কান্ডারি, ঐ আকাশের নিচে শীর্ষক কবিতা
তার পরিচিতি বারিয়ে দেয়। তিনি তার কবিতা চর্চা অব্যাহত রাখেন। তার নতুন
ভাবনার দিগন্ত উম্মোতি হয়। দৈনিক আজাদ, দৈনিক সংবাদ, মাসিক মহম্মদী,
পত্রিকায় গুনের কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে।
নির্মলেন্দুগুন তার রাজনৈতিক দৃষ্টি ভঙ্গি সাবলীর বর্ণনা বিন্যাসে কবিতায়
তুলে ধরেন। তার এ ধরনের কবিতা সুধী মহলে প্রসংসিত হয়।
নির্মলেন্দুগুন সম্পাদনা করেন একটি সাহিত্য পত্রিকা। এ পত্রিকাটি সে সময়কার
কবি সাহিত্যিকদের মাঝে সাড়া জাগায়। নির্মলেন্দু গুন তার কবিতার সাহসী
উচ্চারণ দিয়ে দুঃশাসন দুর করতে প্রত্যয়ী থেকেছেন। চরম সংকটাপন্ন অবস্থা
থেকে উত্তরণের উদ্যোগ তার কবিতায় পাওয়া যায়। গুনের অভিষেক ঘটে সৃষ্টি
প্রলয়ের মধ্য দিয়ে। তিনি ১৯৬৭ সালে কন্ঠস্বর পত্রিকায় ব্যবস্থাপক হিসাবে
নিযুক্ত হন। দুই মাসের অভিজ্ঞতার কবিতা রচনায় প্রান শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক
হয়ে ওঠে। এ সময় বিজ্ঞাপন সংগ্রহ, অর্থ আদায়ের মতো বিচিত্র কর্মপ্রবাহের
মাঝে সাহিত্যে তার প্রবল আগ্রহ আমরা দেখতে পেয়েছি। নানা ধরনের অভিজ্ঞতা তার
কাব্যচর্চাকে শক্তিময় করেছে। নির্মলেন্দু গুন আবির্ভাবের আদি থেকে সপ্রতিভ
হিসেবে চলমান থেকেছেন। তার কবিতায় নন্দন তত্বের পাশাপাশি বিক্ষোভ বিদ্ধতা
লক্ষ্য করা যায়। তিনি সংক্ষুব্ধ হয়ে যান সচেতন ভাবেই। তার কবিতায় নিপীড়িতের
হাহাকার মর্মরিত হয়। তিনি বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তার কবিতা হৃদয় গ্রাহী হয়ে
ওঠে এ সময় আবুল হাসানের সাথে তার বন্ধুত্ব তৈরী হয়।
পিপল পত্রিকায় নির্মলেন্দুগুন কিছুদিন সাংবাদিকতা করেন। দৈনিক পাকিস্তান,
দৈনিক আজাদ পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতে থাকেন। ১৯৭০ এর জুলাই মাসে জাতীয়
গ্রন্থকেন্দ্র তিনি হুলিয়া, শীর্ষক কবিতা পাঠ করেন। এই বিখ্যাত কবিতার
মধ্যে গোটা জাতির দু:খ দুর্দশা ও স্বপ্নের বৃত্তান্ত ফুটে উঠেছে। গন
অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট আয়ুবীয় দুঃশাসন, বাংঙ্গালীর অগ্রসরতা, একটি
স্বপ্নবিন্দুকে ছোয়ার সংগ্রামকে তিনি এই কবিতায় বর্ণনায় অন্তুভর্‚ক্ত
করেছেন। উদ্বৃতি দেয়া যেতে পারে।
আমি যখন বাড়ীতে পৌছুলাম তখন দুপুর
চতুর্দিকে চিকচিক করছে রোদ্দুর-
আমার শরীরের ছায়া ঘুরতে ঘুরতে ছায়াহীন
একটি রেখায় এসে দাড়িয়েছে।
কেউ চিনতে পারেনি আমাকে।
ট্রেনে সিগারেট জ্বালাতে গিয়ে এক জনের কাছে থেকে
আগুন চেয়ে নিয়ে ছিলুম একজন মহাকুমা স্টেশনে উঠেই
আমাকে জাপটে ধরতে চেয়েছিল
একজন পিছন থেকে কাধে হাত রেখে চিৎকার করে উঠেছিলো।
আমি সবাইকে মানুষের সামিল চেহারার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি।
---------------- খবর পেয়ে যশমাধব থেকে আসবে ন্যাপ কর্মী ইয়াসিন তিন মাইল
বৃষ্টির পথ হেটে রসুলপুর থেকে আসবে আদিত্য
---------------- ওরা প্রত্যেকেই জিঞ্জেস করবে ঢাকার খবর
আমাদের ভবিষ্যৎ কী?
আয়ুব খান এখন কোথায়?
শেখ মুজিব কি ভুল করছেন?
আমাদের নামে কতদিন এরকম হুলিয়া ঝুলবে?
এই কবিতায় মুক্তিযুদ্ধের পূর্বকালের সংকটাপন্ন অবস্থা বিপর্যস্ত বাঙালি
জাতির মুক্তির আকাংখা অনিবার্যভাবে ধারাবাহিক বিবরণীর মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত
হয়েছে। নির্মলেন্দু গুনের প্রথম কাব্যগ্রস্থ ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই,
প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালে। স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্রে তিনি নিয়মিত কথিকা পাঠে অংশ নেন। স্বাধীনতা
উত্তর কালে তিনি দৈনিক দৈনি গণকন্ঠ পত্রিকায় যোগদেন। মত পার্থক্য হওয়ায়
তিনি আবার সংবাদে এ ফিরে আসেন। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয় নির্মলেন্দু গুনের
কাব্যগ্রন্থ না প্রেমিক না বিপ্লবী। এখন তার অসংখ্য কাব্যগ্রন্থ পাঠক মহলে
সমাদৃত। নির্মলেন্দু গুন প্রচলিত প্রথার বাইরে থেকে সাহিত্য করেছেন। তার
স্বনির্মিত সীমানায় পরিনত আলোর পথে তিনি হেটে যাচ্ছেন।
তিনি আত্ম স্বার্থ বিসর্জিত রাজনীতরি একটি শুদ্ধ পরিমন্ডল প্রত্যাশা করেন।
আদর্শের রাজনীতির চাকা তিনি চলমান দেখতে চান। স্বার্থ পরতা নয়। গণ মানুষের
স্বার্থ আদায়ের লড়াই এ নির্মলেন্দু গুন লড়াকু ভ‚মিকা পালন করেন। তার
রাজনৈতিক ভাবনা হৃদয়চেরা বিশ্লেষনে শিল্প মন্ডিত উপস্থাপনায় কবিতায় বন্দি
হয়। প্রেমের কবিতার ক্ষেত্রে ও গুন অনন্য। স্বমহিমায় ভাস্বর উজ্জল তার
উপস্থিতি। ভালবাসার বানিতে বর্ণিল তার প্রেমের ভুবন প্রেমের অমোঘ অনুভব তার
কবিতায় অনুরিত হয়। আবেগ ময় প্রেমের উপলব্ধি ভালবাসার উচ্ছাস তার কবিতায়
নানা ভাবে আসে। কবিতা আবর্তিত হয় রাজনিতি কিংবা আদর্শকে কেন্দ্র করে।
তোমাকে নিশ্চয়ই একদিন আমি কিনে দিতে পারবো
এক সেট সোনার গহনা, নিদেন পক্ষে নাকের নোলক একখানা
তোমাকে নিশ্চয়ই একদিন আমি কিনে দিতে পারবো
একটি আশ্চর্য সুন্দর ইজিপ্সীয়ান কার্পেট। মখমলনীল শাড়ী পরে
তুমি ভেসে বেড়াবে সাড়া খরময় রাজহাস।
কিন্তু তার আগেই চাই সমাজতন্ত্র।
নির্মলেন্দু গুনের অগ্নিময় কবিতার জগত এদেশের গৌরবময় ঐতিহ্য। তার তেজদীপ্ত
কবিতা রাজনৈতিক এবং মানবিক বিপর্যয় রোধে কার্যকরী।
এদেশের যাবতীয় সংকট মোকাবেলার শক্তি গুনের কবিতায় পাওয়া যায়। তার মোহন
সৃষ্টি কর্ম আমাদের সাহিত্যের অগ্রসরতা বৃন্ধিতে সহায়ক ভ‚মিকা রাখে।
বিশ্বপরিমন্ডলে আমাদের পরিচিত করিয়ে দেয়। এই কবি দুঃসময় পেরিয়ে এগিয়ে যায়
আপন আলোয় উদ্ভাসিত পথে। বাংলাদেশের হাত ধরে। বিরল প্রজকবি নির্মলেন্দু
গুনের দীর্ঘায়ু কামনা করি।