সংবাদ

 

 

 

 

 

কবিতা

 

 

ভা ষা সৈ নি ক হা মি দু জ্জা মান এ হি য়া স্মা র ক ক বি তা
গড়াই নিবাসী মিয়া ওয়াহিদ কামাল বাবলু

কণ্ঠে ভাষা ধারণ করে গড়াই
নিবাসী এক কৈশরীক সাতারু
জলস্ফীতি মাড়িয়ে গেয়েছিলেন,
'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো....
'
মহান যুদ্ধের বারুদ মেখে
যুবকের দ্রোহ -ক্রোধ নিয়ে
গেয়েছিলেন মুক্তির গান, 'এক
নদী রক্ত পেরিয়ে.... '
ভাষার বীজ বপন করে মুক্তির
ফসলে ভরেছিলেন ঘর
গড়াইয়ের ঢেউয়ে তুলেছিলেন
সমুদ্র গর্জন -
সূর্যডোবা রাত্রি পেরিয়ে
নতুন সকালের রঙে চেতনার
কোরক মেলে
মানুষের জয়যাত্রায় নাম
লিখেছিলেন গড়াই নিবাসী এক
বিজয়ী কিশোর।
তিন প্রজন্মের পথ হেটে এ যেন
এক ইতিহাসের সফল নায়ক।
আলো ফেলেছিলেন প্রান্তরে
প্রান্তরে
আপনার বসতী আমাদের চিরচেনা
ঘরে
পিতা প্রপিতামহের দেয়া দলিল
দস্তাবেজের মতোন আপনাকে
আগলে রাখবো।
হে নায়ক শুধু সড়কফলকে নয়
খচিত হবে নাম
প্রিয় শহরে স্বভূমের পথে
পথে।
***

যৌবন ধমনি

আব্দুল হাকিম

তোমার ধমনিতে যদি থাকে যৌবন
কঠিন হাতে ধর এবার কলম l
আঘাতে আঘাতে চুর্ন কর বোমা l

তোমার ধমনিতে যদি থাকে দাহ
ছুটুক তোমার কি-বোর্ডে ফুলকি l
ধ্বঙস হোক ওই রাক্ষসি ফাইটার l

তোমার ধমনিতে যদি থাকে প্রেম
উঠুক তোমার গিটার ব্যান্ডে ঝড় l
চুরমার হয়ে যাক দানব মেসিন-গান l

অক্টোবর ১৪, ২০১৬
বাল্টিমোর, ইউ এস এ

***
বীরেন মুখার্জী
মায়াবিভ্রম

ঘুরতে ঘুরতে আসি, নিদ্রাকাল পার হই
পুড়তে পুড়তে
ব্রম্মান্ডের পুথি ধুলোয় লুটায়; দেখি-
আকাশের বৃš— থেকে খসে যাচ্ছে
নক্ষত্র রচিত মুদ্রা
লুণ্ঠিত হতে থাকা মানুষ উন্মুক্ত করছে ভ‚মি,
এবার লুণ্ঠিত হবে বুঝি অর¶িত ¶েত!

পরিবর্তন প্রত্যাশায় হেঁটে চলেছি-
লাশবাহী গাড়ি, সবুজ প্রাš—র আর
বিশ্ব—স্পর্শ সরে যাচ্ছে পাশ ঘেঁষে, দূরগামী

নিদ্রাকাল পেরিয়েও ঘুরছি দেখি একই বৃত্তে
অন্যদিকে সমান্তরাল উড়ছে দীঘল কবিতা!
***
আমার আহাম্মক বুক কাঁপে
সাইদুজ্জামান

কী হবে অমন কেঁপে?
কেন এমন কাঁপিস অহর্নিশ
আহাম্মক হৃৎ, এই তড়িন্ময় কম্পনে কি লাভ?
হৃষ্টি কিছু সৃষ্টি করিস?
নাকি ভয়ে?
কিসের ভয়, কিসে এত পুলক?
অবুঝ বালক, কেন অমন কাঁপিস অবিরাম,
নির্বোধ বক্ষ আমার, আমার বোকারাম ?
***
‘কবিতা’
----লীমা জামান শিল্পী
কঠিন হাতে দেশলাই জ্বেলে
পোড়ালে আমার
দিস্তা দিস্তা খাতার কাব্য
অতঃপর তোমার গৃহত্যাগ আজ
ভোরে ।
তুমি চলে গ্যাছো। আমার
ঘরদোর পাপোশে
রেখে গ্যাছো চটির ধূলো
শুধু।
এক বেওয়ারিশ ক্রোধ তোমাকে
ভাসায় বিষন্ন বাতাসে।
তোমার চলে যাওয়া এ যেন সেই
বরফ পাখিটির
নিষিদ্ধ সূর্য প্রেমিকের
রৌদ্রে অবগাহন।
অভিমানী ছাই পড়ে আছে।
অপেক্ষায় দুপুর বিকেল
সন্ধ্যে পেরিয়ে
বিষের পেয়ালা হাতে এই
মধ্যরাতে আমি
সম্পর্কের শেকল ছেঁড়ায়
প্রতিশ্রুত প্রাচীন
প্রেমিক।
দগ্ধ ডানা পুনর্বাসনের কথা
ভেবে তুমি কি আসবে শোকের
কাজল চোখে?
যদি আসো যদি ঐ পুরনো ছবির
ফ্রেম তোমাকে বিব্রত করে
কোন অসতর্ক মুহূর্তে যদি
চোখ থেকে
এক ফোঁটাও নুনজল গড়িয়ে
পড়ে
তখন নৈঃশব্দের এই ঘরে
সৃষ্টি হবে
অজস্র শব্দ অক্ষর কবিতা।
জেনো, ঠিক তখন অকবি রমনীকে
ভালোবাসার দায়বদ্ধতা শোধ
হবে আমার।
***

কবিদের গল্প
-এম, মনির-উজ-জামান

জেগে থাকতে থাকতে থাকতে
নিশি ভোর হলো
কষ্ট সইতে সইতে
কষ্টি পাথর সম।

লোকে তখন বললো
কবি শোনো
কবি থামলো না
কবি পরবাসীই হলো।
***
শুকতারা
-আফরোজ জাহান (কণা)

শুকতারা গো, তুমি কি আমার ব্যক্তিগত স্যাটেলাইট হবে?
যদি হও, তাহলো আমি তোমার কথা বলার সাথী হব।
তোমার মনের যত দুঃখ, যত আনন্দ, মিথ্যে গর্ব, বাড়িয়ে বলা বিরক্তিকর শব্দ দূষণ
সব মন দিয়ে শুনবো আমি।
একবারও ভুরু কুঁচকাবো না, ঠাট্টার রহস্যময় হাসি ছড়াবো না,
কথার মধ্যে কথা বলতে খেই হারিয়ে ফেলতে দেব না।
ভীষণ ভদ্র পাশের বাসার ভাবীর মত মিষ্টি মুখে, মৃদু মাথা ঝাঁকিয়ে
শুধু সমর্থন দিয়ে যাব।
বল, তুমি স্যাটেলাইট হবে?
তাহলে মাকে ফোন দেই?
ভরা পূর্ণিমায় মা তার চাঁদ মুখখানি তোমার দিকে তুলে ধরুকÑ
আমি দু’চোখ ভরে মাকে দেখি।
দেখি, কেমন করে মা আমার শৈশবের কারুকাজ খঁচিত আঙিনায়
নিভৃতে হেঁটে বেড়ায়।
দেখি, আমি হীন জীবনের সাথে
মা আমার কেমন সুখে আছে।
***
 হারাতে-হারাতে সব হারালাম-১
দীপক চক্রবর্তী

হারাতে হারাতে সব হারালাম
থাকলো শেষে কি ?
এই বাঙ্গালী চায়কি হতে
ভীন দেশীদের ঝি ?

দেশাল ধান নেইতো দেশে
চাষ হচ্ছে ব্রি,
বিয়ে করলে বউয়ের সাথে
শালী হলো ফ্রি।

আটার কেজি ত্রিশ টাকা
চাউল হলো সস্তা ,
স্বপ্নেও এখন যায়না দেখা
নাইদার শাইল গস্তা।

দেশী মাছের যায়না দেখা
ইলিশের কেজি হাজার,
হারিয়ে গেছে পাঁবদা পুঁটি
আরও শৈল গজার।
হারাতে- হারাতে সব হারালে
বাঙ্গালী কি খাস ?
তেলা পিয়া প্লোট্টি কই
আর আছে পাঙ্গাশ ।
বাংলা ছবি হারিয়ে গেছে
ষ্টার জলসার কাছে,
কাজ কর্ম ফেলে বউ
চ্যানেল নিয়েই আছে।

হারাতে- হারাতে সব হারালাম
কি থাকছে শেষে ?
এখন দেখি পল্লী বধূ
 চলে মেমের বেশে ।
দীপক চক্রবর্তী / আড়পাড়া /শালিখা /মাগুরা