সুলতা রায়

আমাদের হোম টাউন।
বালুরঘাট ধরে।
যদিও আমি ছোট একটা গ্রামের।
গ্রাম/পোস্ট বালাপুর।
দক্ষিণ দিনাজপুর। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পশ্চিমবঙ্গের মালদা বিভাগের
অন্তর্গত একটি জেলা।
ড. জাহিদা মেহেরুন্নেসা

ড. জাহিদা মেহেরুন্নেসা
সাহিত্যের শিক্ষক। বাংলা সাহিত্যের। ঢাকা ইডেন কলেজের অধ্যাপিকা।
চরু হক

চরু হক
সাহিত্যের শিক্ষক। ইংরেজি সাহিত্যের।
রীনা ঘোষ

রীনা ঘোষ ইংরেজি সাহিত্যে মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। বসবাস
করছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। বর্তমানে মাঝারি স্কেলের
শিল্পোদ্যোগী । মূলত কবি লেখক। দেশ বিদেশের বহু জায়গা থেকে তাঁর কবিতা
বেরিয়েছে।
জান্নাতুন নাঈম প্রমি

জান্নাতুন নাঈম প্রমির নিবাস বাংলাদেশের ঢাকায়। বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রমি এখন একজন শিক্ষা
উপদেষ্টা।
তনুশ্রী সামন্ত

তনুশ্রী সামন্ত বসবাস এবং শিক্ষকতা করছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরায় ।
জয়া চক্রবর্তী সোমা

কলেজ জীবন থেকেই লেখালিখির শুরু। প্রথম লেখা প্রকাশ শুকতারার
পাতায়। পরে অজস্র লিটিল ম্যাগের পাশাপাশি বানিজ্যিক পত্রিকা প্রসাদেও
প্রকাশিত হয় লেখা। পরিচালক বর্ষালী চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে জয়া
চক্রবর্তী সোমার লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরী হয়েছে হিন্দি ছবি "the
darling wife"
৭৮৫/৬ মহেন্দ্র ব্যানার্জি রোড
রবীন্দ্রনগর, বেহালা
কোলকাতা-৭০০০৬০
মোঃ-৮০০১১৭১১১৭
প্রণব ভট্টাচার্য

প্রণব ভট্টাচার্য ভাষাতত্ত্বজ্ঞ, সাহিত্যিক, সাহিত্যের
শিক্ষক, প্রাক্তন সাংবাদিক কলামিস্ট এবং ডাক্তার। নিবাস কোলকাতায়। সাহিত্যের সব বিভাগেই তাঁর
বিচরণ। তিনি কবি, তিনি প্রাবন্ধিক, পূর্ণবিকশিত মেধায় মেধাবী,
ছোট বড়ো সবার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় যত্নশীল তিনি এক মহৎপ্রাণ ব্যক্তি।
নীলাঞ্জনা সরকার

কলকাতায় জন্ম হলেও বর্তমানে মুম্বাই প্রবাসী। নিজের ব্লগ
aminilanjana.blogspot.com এ নিয়মিত লেখেন এছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকা,
আন্তর্জাল পত্রিকায় গল্প এবং কবিতা লেখার সাথে যুক্ত। মুম্বাইয়ের
'সহচরী' নাচের গ্রুপের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। প্রকাশিত হয়েছে একক
গল্পসমগ্র 'কুহক' এবং যৌথ গল্পসমগ্র 'কল্পনার গল্পকথা'। ছবি আঁকতে
ভালোবাসেন।
মোঃ মহিবুল ইসলাম

পরিচিতি: আমি একজন নিভৃতচারী মানুষ। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর
উপজেলার দেবীপুর গ্রামে ১৯৬৯-এ জন্ম। রাজনীতি বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর
শেষে বাংলাদেশের সরকারি মালিকানাধীন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি।
বর্তমানে সিলেটের আঞ্চলিক প্রধান।
শাহনাজ শারমিন

জন্মঃ- ১৩-১০-৭৭
ঢাকা জেলা ধামরাই থানার অন্তর্গত কাঠালীয়া গ্রামে মুসলিম পরিবারে আমার
জন্ম। ছোট বেলা থেকেই লিখার প্রতি আমার প্রবল আকর্ষন ছিলো। লিখেছি
শতাধিক কবিতা,উপন্যাস, ভৌতিক গল্প ছোট গল্প কিন্তু ওগুলো আজও কারো
প্রকাশনায় প্রকাশিত হয়নি। আমি একজন সাদামাটা গৃহিণী।
এ ৬২/২৩ জলেশ্বর, সাভার, ঢাকা।।
গৌতম সাহা

নিবাস বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ।
২০০৮ ও ২০০৯ এ দুটো কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল। লেখার শুরু ১৯৮১
থেকে। এ ছাড়া লিটল ম্যাগাজিন এ লিখি। স্থানীয় পত্রিকায় লেখা যায়।
প্রথম গ্রন্থ "দ্বিতীয় জন্ম", পরের টা "কাচের কফিন" জাতীয় গ্রন্থমেলায়
ছিল।
আমার কাকা কবি ইন্দু সাহা। যার ১২৭ টি প্রকাশিত গ্রন্থ। ২৭ টি নাটকের
সফল মঞ্চায়ন। সাড়ে তিন হাজারের মত লেখা গান লিখে গত ১৫ মে প্রয়াত
হয়েছেন।ঢাকায় নাট্যফোজ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।
আমার দাদা সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে
বিশেষ অবদান ছিল তাঁর।এটা ১৯৩০ এর দিকে হবে।
সাহিত্য সমাজের সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করে। তাই মনে করি সাহিত্যকে আরও
এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিৎ।
অরুণোদয় কুণ্ডু

নাম অরুণোদয়। ধাম হাওড়া , পশ্চিমবঙ্গ , ভারতবর্ষ আর
শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড প্রযুক্তিবিদ্যা । এখন প্রশ্ন আসে সাহিত্যে
আমার কাম কি? কাম নেই আছে ভালবাসা , ছোটবেলা থেকে। জীবনটা নদীর মত বয়ে
যায়, তার কর্মমুখর পথের দুধারে অববাহিকার শস্য শ্যামল সাহিত্য তার
সবুজ রঙ্গিন হাত দিয়ে জড়িয়ে রয়েছে আমার হৃদয়। সেই সবুজের পূজা ই
আমার সাহিত্য । কখনো তা ভোরের গৈরিক রঙে ত্যাগ মন্ত্রে দীক্ষা ; কখনো
বিকেলের কনে দেখা রোদে ঘরে ফেরার গান । কখনো প্রতিজ্ঞা ,কখনো হাসি
কখনোবা অভিমান ।কখনোবা তা বীরমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে মানবাত্মার কল্যানের
খোঁজে ফেরার । এসব নিয়েই আমার সাথে সাহিত্যের জমজমাট প্রেম । তার
সাক্ষাতকারের সাক্ষী হতে বারন নেই কারোর। তাইতো সে আজ “কার্তিকের
কুয়াশা” এর দরবারে , একমুঠো দমকা হাওয়ার ভালবাসা নিয়ে।
সামিদা খাতুন

নাম মোছাঃ সামিদা খাতুন
জন্ম তারিখ - ৯ জুলাই ১৯৯৭
পিতা মোঃ সানোয়ার হোসেন
মাতা মোছাঃ হাসনা বেগম
গ্রাম চর মালশা পাড়া
জেলা + ডাকঘর + থানা- সিরাজগঞ্জ
আমরা তিন ভাই বোন। আমি বড় তারপর ভাই এবং সবার ছোট বোন।
বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মা গৃহিনী। আমি মাত্র অনার্স পরিক্ষায়
উত্তীর্ণ হয়েছি বাংলা বিভাগ থেকে। ২০১৯ এর পরিক্ষার্থী ছিলাম। লেখা
পড়ার পাশাপাশি ছোট একটা চাকুরি করি।
অরিত্রা মান্না

নাম - অরিত্রা মান্না
ঠিকানা - গ্রাম অভিরামপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
কলেজের শেষ বছর চলছে। পাখির মতো উড়তে চাই কিন্তু পারিনা বলে লেখার
মাধ্যমে উড়তে চেষ্টা করি, তবে বিষেশত খেলাধুলা করি মন চাইলে একটু আধটু
লেখালেখি করি।
লীমা জামান শিল্পী

লীমা জামান শিল্পী একাধারে কবি, ছোটগল্প লেখক ও প্রবন্ধকার।
কিন্তু সবকিছুর মাঝে কবিতা লেখা যেন একটু বেশী পছন্দ। কবিতার মাঝে তিনি
বিনির্মান করেন স্বর্গের সিঁড়ি। জীবন সরোবরের অমৃত সুন্দর খুঁজে ফেরেন
তার দর্শনে তার মননে। খুব অল্প বয়স থেকেই প্রকৃতি তাকে ভাবাতো। আকাশের
ছোট্ট উজ্জ্বল নক্ষত্রটিও তাকে নিয়ে যেত উপলব্ধির নতুন মাত্রায়। পিতার
চাকুরী সূত্রে বাংলাদেশের বেশকিছু জায়গায় ভ্রমন হয়েছে। তবে কলেজ শেষে
উচ্চশিক্ষা লাভে একসময়ে তিনি দেশ ছেড়ে পাড়ি জমালেন আজারবাইজানের
Azerbaijan Institute of Oil and Chemistry –এ। সেই নতুন পরিবেশ থেকে
শুরু হলো ভাবনার এক নতুন জগৎ, নতুন দৃষ্টিভংগী। কবিতা লেখার প্রতি
আগ্রহ তখন যেন প্রবলরূপে সৃষ্টি হয়। তারপর দেশে ফিরে কাব্যচর্চা ও
কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে নিজেকে খুঁজে পেলেন অন্যরূপে। যেখানে উপলব্ধির
বিশালতা আকাশ ছোঁয়া। রচিত হলো তার পিতাকে নিয়ে এক অনবদ্য রচনা ‘আকাশ
কেন নীল।’ একটু একটু করে অসংখ্য লেখাই ইন্টারনেট জগতে প্রকাশিত হয়েছে।
নিজস্ব ই-বুক তৈরীরও ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যতে।
ছন্দা চৌধুরী

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিধ ডিগ্রি
অর্জন করে কবি ছন্দা চৌধুরী এখন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাস করছেন।
নিজের সম্পর্কে তিনি বলেছেন, "আমার পড়া বা কবিতার নেশা ধরিয়েছে আমার
আব্বা। তার প্রচুর কবিতা আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় আমাদের
দিনমান কেটে যেতো।" ছন্দা চৌধুরীর অন্যতম প্রধান কাব্যগ্রন্থ, " তুমি
আমার নদী হবে?"
ড. পরমেশ ঘোষ

ড. পরমেশ ঘোষ আপনারই মত এক সাধারণ মানুষ, বই লেখেন
জীবিকানির্বাহের জন্য নয়; লেখেন নিজের জীবনদর্শন জগতের নাগরিকদের সঙ্গে
আলোচনা করার জন্যে। এই গবেষণা জগৎ নিয়ে, জগতের মানুষদের নিয়ে, মানুষদের
চলাফেরা, পরিক্রমার সীমারেখা নিয়ে। লেখা বইগুলি: ‘মুছে গেলো সীমারেখা’,
‘অঞ্জু মাসী’, ‘লাইভস্ ম্যাটার’, ‘No Boundaries’, ‘Know No
Boundaries’, ‘Lives Matter’ ইত্যাদি।
পরমেশ একজন প্রকৌশলী, একজন ভাষ্যকার, একজন দার্শনিক যে রোম্যান্সের
প্রকৃত অনুভূতি জানে মর্ম্মে মর্ম্মে... ড. পরমেশ ঘোষ ... সমস্ত ধর্ম ও
রাজনীতির বিভেদের ঊর্দ্ধে; তিন দশকেরও বেশী সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ার
নাগরিক, অনবদ্য অবিমিশ্র অপর্য্যাপ্ত তার ভালোবাসা বাংলা ভাষার জন্যে।
লেখক ড. পরমেশ ঘোষ এক সাধারণ মানুষ, নিজের জীবিকা-নির্বাহের জন্যে ও বই
লেখে না, লেখে সবার সাথে ওর জীবনদর্শন ভাগ করে নেওয়ার জন্যে,
সীমান্তহীন জগতের প্রাণ-প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে সকলকে সামিল করার জন্যে। ওর
জন্ম নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে। ছোটবেলায় ওর বাবা-মা আর ভাইবোনেরাই ছিল
ওর পুরো পৃথিবী। এই ছোট্ট পৃথিবীর যে কেউ এই পৃথিবীর অন্য কারুর
সুবিধার জন্যে তার নিজের স্বার্থ ত্যাগ ক’রতে তৈরী থাকতো। এই ছোট্ট
সংসারে ওর বাবা-মা যে নীতিগুলি শিখিয়েছিলেন, ও বিরাট পৃথিবীতে সেগুলি
সর্ব্বান্তকরণে অনুসরণ ক’রেছে;
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনীয়ারিং গ্র্যাজুয়েট পরমেশ ছিল ইণ্ডিয়ান
টিউব কোম্পানীর ফোরম্যান, স্টীল টিউবের কোল্ড-ড্রয়িং-এর বিশেষজ্ঞ।
এখানেই ওকে দেওয়া হ’লো ইণ্ডিয়ান টিউব কোম্পানীকে কম্পিউটারাইজ করার
দায়িত্ব। এর পর থেকেই দেশে কম্পিউটার-সচেতনতা গড়ে তোলার জন্যে উদ্যোগী
হ’য়ে ওঠে পরমেশ, কম্পিউটারে দক্ষতার জন্যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব
গ্রহণ করে। অস্ট্রেলিয়াতে কাজের সঙ্গে পার্ট-টাইম পড়াশোনা চালিয়ে পরমেশ
মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং মাস্টার অফ কম্পিউটিং
সায়েন্সের ডিগ্রি অর্জন করে। এর পরে বহু কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের
সমন্বয়ের উপর গবেষণা ক’রে ও কম্পিউটিং সায়েন্সে পি-এইচ-ডি উপাধিতে
ভূষিত হয়। ব্যাঙ্ক অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সম্মিলিত ভাবে কাজ করার পদ্ধতির
প্রবর্তন করেছিল পরমেশ; সম্ভবতঃ এইকাজই তাকে পরবর্তীকালে অনুপ্রাণিত
ক’রেছিল সারা পৃথিবীর সবদেশ মিলিয়ে এক বিরাট দেশ – বিরাট পরিবারের
স্থাপনায়।
ম্যাক আজাদ

ম্যাক আজাদের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তিনি বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স শাহীন
কলেজে লেখাপড়া করেছেন। বর্তমান নিবাস টরন্টো, কানাডা।
রত্না চক্রবর্তী

লেখক রত্না চক্রবর্তী বেহালা রবীন্দ্রনগর বাসী পেশায় প্রাইভেট
শিক্ষক। লেখালেখির অভ্যাস কলেজ জীবন থেকেই। বাইরের জগতে কলেজ
ম্যাগাজিনের পর "বইপোকার কলম " গ্রুপ থেকে লেখার বাইরে প্রচার শুরু।
এছাড়া চলে অসংখ্য লিটিল ম্যাগে লেখালিখি। বর্তমানে বহু সাহিত্য গ্রুপ
আর অডিও চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত। একধারে সমাজজীবন ও মানুষের মনের
বিভিন্ন দিক নিয়ে গল্প পরিবেশন করেন, পাশাপাশি আছে ভূত অদ্ভুত অলৌকিক ও
রহস্যগল্পগুলি। বহু ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয় তার গল্প ঈ কবিতা।
ঝিনুক..একটি আধার পত্রিকার সম্পাদক গত ছয় বছর ধরে।
ঠিকানা-
৭৮৫/৬ মহেন্দ্র ব্যানার্জী রোড
রবীন্দ্রনগর, বেহালা
কোলকাতা-৭০০০৬০
মোঃ-৮৯৮১১৩৩৫৬০
ইমেলঃ-ratna.Chakraborty.55@gmail.com
ড. মোছা. ফেরদৌসী বেগম

ড. মোছা. ফেরদৌসী বেগম বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। জন্মস্হান পাবনা। রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। শিক্ষাজীবনে গোল্ড মেডেলসহ সকল স্তরে
শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে বিভাগে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে
রাজাশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অণুজীববিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন
করেন। ২০১০-২০১১ সালে ইউনিভার্সিটি পুত্রা ইমালয়েশিয়া থেকে
পোস্টডক্টরেট করেন। তার গবেষণার বিষয় অণুজীবিয় এনজাইম, বায়োডিগ্রেডেশন,
মাটি ও পানির অণুজীবিয় গুণাগুণ, খাদ্য ও পানির অণুজীবিয়
নিরাপত্তা,খাদ্য ও পানিবাহিত রোগের জীবানু ও উদ্ভিদ রোগ নিয়ন্ত্রন,
সিঙ্গেল সেল প্রোটিন, খাদ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন। একটি রেফারেন্স বইসহ দেশ
ও আন্তর্জাতিক জার্ণালে তার প্রকাশনা ৫০ এর অধিক। দেশে ও বিদেশে
অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহন ও প্রবন্ধ উপস্হাপন করেছেন।
বহুসংখ্যক গবেষণা প্রকল্প ও এমএস, এমফিল, পিএইচডি গবেষণা তত্বাবধায়ন
করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রোভোস্টসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ
দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি অনলাইনে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
প্রোগ্রামেও অংশগ্রহণ করেন। তার স্বামী প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও
একমাত্র সন্তান মাইশা ফারজানা রিয়া। তার শখ বিজ্ঞান ও সাহিত্য বিষয়ক
বইপত্র পাঠ করা, ভ্রমন করা, লেখালেখি ও গানশুনা। শখের বশে কবিতা লেখা
যা এখন নেশা। ইতিমধ্যে তার কবিতা বেশ কয়কটি সাহিত্য বিষয়ক অনলাইন পেজে
সেরা সম্মাননা লাভ করেছে।
ফিরোজা হারুন
জন্মঃ জানুয়ারি ১, ১৯৪৪, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার হরিরামপুর
গ্রামে। স্নেহময় পিতা জনাব আব্দুস সোবহান বিশ্বাস ও মাতা জুবাইদা
খাতুনের ছায়ায় বেড়ে ওঠা।শিক্ষাঃ ময়মনসিংহ বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়। তারপর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কলেজ হতে বি.এ. পাশ করে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতিহাসে এম. এ. সমাপ্ত করে ময়মনসিংহ টিচার্স
ট্রেনিং কলেজ ফর উইমেন থেকে বি. এড. ডিগ্রী অর্জন এবং ঢাকায় আদমজী
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে যোগদান। এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের
জননী ফিরোজা হারুনের সাহিত্য অঙ্গনের অগ্রযাত্রার মূলে প্রেরণা
যুগিয়েছে তাঁর স্বামী ডাঃ মোহাম্মদ হারুন। তাঁর প্রথম উপন্যাস
'জীবনেরে কে রাখিতে পারে' সাপ্তাহিক রোববারে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশের
পর ১৯৯৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। আর আন্তর্জালে প্রকাশ
পেয়েছে ২০০৮ সালে। দ্বিতীয় প্রকাশিত উপন্যাস ২০০০ সালে 'সুখের
লাগিয়া'। ২০০৮ এ প্রকাশিত হয়েছে আরো ছয়টি গ্রন্থ। কিশোর সংকলন
-মেঘরাজা রোদরাজা, কাব্য সংকলন-নিশি লোর, উপন্যাস-প্রতীক্ষা, তিন
পুরুষের গল্প, স্মৃতির দুয়ারে এবং গল্প ও প্রবন্ধ সংকলন-ছিন্ন বীণার
তার। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি সমাজকল্যাণ মূলক কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁর মায়ের স্মৃতিস্মরণে একটি প্রাইমারি স্কুল তাঁরই
নিজ গ্রামে।
তাপস কুমার দাস

পোশাকি নাম,তাপস কুমার দাস বয়স ৫০,নিজেকে ছন্নছাড়া ভাবি, অন্তত কাজে
কর্মে তাই প্রমান হয়, শখ পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো কবিতা পড়া, লেখা,
কর্মসূত্রে চিত্তরঞ্জনে থাকি ।
এ কে এম সাইদুজ্জামান

জন্ম ১২ই আগস্ট বাংলাদেশে। শিক্ষা সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং কানাডায়। সোভিয়েত
ইউনিয়নের আজেরবাইজান সিভিল এঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম সিভিল
এঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রি, আজেরবাইজান তৈল ও রসায়ন ইনস্টিটিউট থেকে তাপ
এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জল শোধনের উপর গবেষণার জন্য রুশ
ফেডারেশন প্রদত্ত পি এইচ ডি ডিগ্রি,কানাডার কনকোর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে প্রথমে এনভায়রনমেন্টাল এঞ্জিনিয়ারিংএ গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট এবং
সব শেষে সিভিল এঞ্জিনিয়ারিংএ পি এইচ ডি। বিদ্যালয়ে বিচরণ ঢের হয়েছে
বিধায় এরপর থেকে বিদ্যালয় থেকে দূরে থেকেছি। বর্তমানে কানাডার অন্টারিও
প্রভিন্সে অনুমতিপ্রাপ্ত লাইসেন্সধারী প্রকৌশলী।
Diogenes the Cynic এর মতো ভাবতে ভালবাসি, "আমি এই পৃথিবীর নাগরিক ।"
অবাস্তব ভাবনা বৈকি! যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডার বিভিন্ন শহরে, এক
বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষকতা এবং সিভল এঞ্জিনিয়ারিং পেশায় আমি
সর্বদাই সাময়িক এক কর্মজীবী। সর্বদা সাময়িক আর চিরস্থায়ী বস্তুত একই
বস্তু বলে বোধ করি । জীবিকা অর্জনের তাগিদে সিভল এঞ্জিনিয়ারিংয়ের
নিরস কর্মকান্ড আমার জীবনে এক স্থায়িত্ব দখল করে ফেলেছে। সেই যৌবন
থেকে ভেবেছি মিস্তিরিগিরি সাময়িক দুএকটি বছর করে পাকাপোক্ত ভাবে
সাহিত্য জগতে ঢুকে পড়ব - বাস্তব তা হতে দেয়নি । আর সামান্য একটু বেশি
সাহস থাকলে ভদ্র গোছের একজন লেখক হতে পারতাম হয়তো । ১৯৭৯ সালে প্রথম
লিখেছি, ১৯৮০-১৯৮১ তে একালের নামকরা লেখকদের সাথে সেকালে সাহিত্যের
দারুন আড্ডা দিয়েছি - এই স্মৃতিটুকু সম্বল করেই এই বুড়ো বয়সে
সাহিত্যের পথে আমার এই বিলম্বিত যাত্রার শুরু । আমার সাহিত্য রচনা
যাঁরা পছন্দ করেছেন, কাকতালীয়ভাবেই তাঁদের অনেকেই জীবনের কোনো এক সময়
নিদারুন মস্তিস্ক বিকৃতির প্রমান রেখেছেন, আর এ ব্যাপারটাও ফলত আমাকে
বেশ নিরুত্সাহিত করেছে । গোটা দুয়েক বই, ডজন খানেক রচনা আমার ছাপা
হয়েছে - তবে তা সাহিত্যের নয়, বাংলা ভাষায়ও নয় । ইংরেজি এবং রুশ
ভাষায় লেখা ওই রচনাগুলো । গোটা চারেক ছোট গল্প বাংলায় লিখিয়ে
নিয়েছে আমার বন্ধুরা, তা ছাপানোর ব্যবস্থাও তাঁরাই করেছেন । পাঠকদের
কেউ কেউ আবেগে মন্তব্য করেছেন সব কটি লেখাই নাকি শ্রেষ্ঠ । এরকম
মন্তব্য আমাকে নিরুত্সাহিতই করেছে এতকাল । যদি সত্যিই আমার লেখাগুলো
ভালো হয়ে থাকে তবে হয়তো পঞ্চম লেখাটি আর সেরকম ভালো হবে না ।
১ । কেন লিখি? পাঠকের অনুরোধের ঢেকি গিলি।
২ । আমার প্রিয় লেখক - বাংলা সাহিত্যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রচনা
"কাগজের বউ"; ইংরেজি সাহিত্যে ফিলিপ রথ, রচনা "দ্য ডায়িং এনিম্যাল";
রুশ সাহিত্যে ইভান বুনিন, রচনা "ভালোবাসার ব্যাকরণ (грамматика любви)"
। আমি নিজে খুবই খারাপ ধরনের পাঠক - কোনো রচনার বিষয়, কাঠামো, কৌশল,
শব্দ নির্বাচন আমার মনে না ধরলে পড়তে ইচ্ছে করে না তা সে যত বড়
লেখকের রচনাই হোক না কেন।
৩ । ইন্টারনেট বাংলা সাহিত্যকে অবশ্যই উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেবে বলেই
আমি বিশ্বাস করি । পাঠকের বিবেচনা শক্তি বাড়বে, ভালো লেখার
ক্ষুধা-তেষ্টা বাড়বে - সৃষ্টি বাড়তে বাধ্য যখন তার প্রয়োজন তীব্র
হতে থাকে ।
8 । বাংলা সাহিত্যের অতীত এবং ভবিষ্যত দু'কালই মারাত্মক উজ্জ্বল।
বর্তমান কালটাই শুধু একটু বেশি সময় নিচ্ছে ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নিতে।
৫। যে লেখক ভালো লিখতে পারেন তিনি বাধ্য লিখতে। না লিখলে তার শাস্তি
হওয়া উচিত, হয়ও বটে। যে লেখক ভালো লিখতে পারেন না, তার উচিত লেখার
লোভ সামলানো । বাংলা সাহিত্যে অধুনা নামকরা অনেক লেখকের স্থানে আমি
থাকলে লেখালেখি স্থায়ী ভাবে বাদ দিয়ে দিতাম । বড় পাপ হয় যা তা লিখে
পাঠকের হাতে দিলে, বড় পাপ হয় সাহিত্য, বিজ্ঞান বা প্রকৌশলকে শুধুই
ব্যবসায় পরিণত করলে ।
৬ । বর্তমান প্রজন্মের কাছে আমার প্রত্যাশা? বর্তমান প্রজন্মকে আরও
একটু স্থির, আরো একটু বিবেচক, আরো একটু প্রশিক্ষিত দেখতে পেলে ভালো
লাগতো ।
৭ । একদিন লেখক হবার স্বপ্ন দেখেছিলাম - হতে পারিনি । অন্য অনেক কিছু
লিখে লিখে জীবন কেটে গেলো, সাহিত্যের লেখা হলো না - হবে না - হয়তো
যোগ্য নই ।